ভাঙড়: ভাঙড়ের মাঠে পুড়ছে সরকারি নথিপত্র। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুড়ে যাওয়া নথি থেকে উদ্ধারের কাজ করছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়া এলাকায় একটি মাঠের মধ্যে সরকারি নথি পুড়তে দেখা যায় বলে অভিযোগ। ওই মাঠটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা মাঠে নথিপত্র জড়ো করে সেখানে আগুনও ধরিয়ে দেয়। দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে নথিপত্রে আগুন জ্বলছে। সেগুলি কিসের নথি, কেনই বা তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Dantan TMC | বিজেপি নেতাদের ঝাঁটা মেরে তাড়ানোর নিদান তৃণমূল বিধায়কের
ভাঙড়ের মাঠে যে নথিপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সরকারি নথি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করেন তাঁরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নথিগুলি বিহার সরকারের। বিহারের ২০০৮ ও ২০১০ সালের কৃষি ও ফিশারি দফতরেররের নথি। সিবিআইয়ের প্রাথমিক অনুমান, এগুলি সব সরকারি অডিটের নথি। নথিগুলি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সে বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। বিহার থেকে এই নথি কিভাবে এখানে এলো তার খোঁজও চলছে।
ঘটনায় এলাকার দুই সন্দেহভাজন তৃণমূল নেতা রাকেশরায় চৌধুরী ও গৌতম মণ্ডলকে ডেকে পাঠায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। গৌতম মণ্ডল কলকাতায় থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তৃণমূল নেতা রাকেশরায় চৌধুরীর সঙ্গে আধিকারিকরা বেশ কিচ্ছুক্ষণ কথা বলেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, রাজেশ সিং নামে এক ব্যক্তি ওই জমির মালিক। রাজেশ সিংয়ের বাড়ি বিহারে। তিনি এই জমিটি তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডলের থেকে কিনেছিলেন। গৌতম জমির প্রমোটিং করেন। ক্যাপ্টেন তিয়ারি পরে রাজেশ সিংয়ের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন এবং একাধিক লোককে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, সিবিআই এসে খুব ভাল করেছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। ওঁরা যে এসে নিজেরাই আগুন নিভিয়ে নথি সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখছেন, এতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কে বা কারা কোথা থেকে এই নথি নিয়ে এসেছেন, তা তদন্ত করলেই পরিষ্কার হবে।