কলকাতা: মৃত্যুর কাছে হার মানল লড়াই। ফিনিক্স পাখি আর উড়ল না। সবাইকে কাঁদিয়ে থেমে গেল ঐন্দিলার হৃদস্পন্দন। ভেঙে গেল জিয়নকাঠি। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গঙ্গার তীর থেকে যে যাত্রার শুরু হয়েছিল হাওড়ায় গঙ্গার তীরে এক বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) তার সমাপ্তি হল। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই। আর দেখা যাবে না তার হাসি মুখ। শনিবার রাতেই তাঁর ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest) হয়। তারপরও ডাক্তাররা লড়ে গিয়েছেন। রাতভর সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media) তার লড়াইকে উজ্জীবিত করতে সজাগ ছিলেন সবাই। অগণিত মানুষের হৃদস্পন্দন গত ২০ দিন ধরে তার সঙ্গেই ওঠা নামা করেছে। এই এবার ঐন্দ্রিলা সাড়া দিল। ডাক্তাররা (Doctor) আগেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও ঐন্দ্রিলার (Aindrila) ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যায়। ফিনিক্স পাখির মতোই। কিন্তু, না, আর ফেরা হল না। একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু হল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে কাঁদিয়ে হাসিমুখের ঐন্দ্রিলা চিরবিদায় নিলেন।
ঐন্দ্রিলা শর্মা শুধু ছোট পর্দার একজন অভিনেত্রী নয়। আসলে একটি আবেগের নাম। যে নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিলেন সবাই। এর আগেও মারণ ক্যান্সার (Cancer) তাঁকে বাগে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু, পারেনি। তিনি বারবার ফিরে এসেছেন। এবার সেই ব্যাধির কাছে হার মালনেন ঐন্দ্রিলা। হার মানল লক্ষ লক্ষ মফসসলের মেয়েদের স্বপ্ন। যাঁরা শহর কলকাতায় গিয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। পড়াশোনা থেকে মডেলিং পার করে এই অভিনেত্রী জিয়নকাঠি সহ একাধিক সিরিয়ালে জনপ্রিয় হয়।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma passes away: ২০ দিনের লড়াই শেষ, প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা
ঐন্দ্রিলা দেবতার নাম। তাঁর বাসস্থান বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থও (Indraprastha) দেবতার নামে। কিন্তু, দৈবিক ঘটনা ঘটল না। রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে থমকে গেল ঐন্দ্রিলার জীবন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছুক্ষণের জন্য যেন থমকে গিয়েছিল বহরমপুরের (Berhampore) গঙ্গার স্রোত। কলকাতার রাজপথে, বাসে, ট্রামে মুখ ভার হয়ে গিয়েছিল যাত্রীদের। হাজারে হাজারে মানুষ তাঁর জীবন ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা (Pray) করেছিলেন। কোনও সব্যসাচী তাকে ফিরিয়ে আনতে পারল না। এদিন ডাক্তার জানিয়ে দিলেন, ঐন্দ্রিলা আর নেই।