কলকাতা: “পরিচালক প্রদীপ সরকার ছিলেন আদ্যোপান্ত খাটি বাঙালি। পোস্ত-ভাত না হলে প্রদীপদার চলতো না। অত্যন্ত প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন।মুম্বইতে প্রদীপদার পালি হিলের অফিসের পাশ দিয়ে যখনই যেতাম একবার তাঁর অফিসে দেখা করতাম।দাদার মৃত্যুতে শোক জানানোর কোন ভাষা নেই।”
পরিচালকের মৃত্যুতে এভাবেই কলকাতা টিভির সঙ্গে শোক প্রকাশ করলেন গায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।বলিউড গায়ক আরো বললেন,”অনেক কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।অনেক আগে আমি একটা রোমান্টিক-কমেডি গল্প লিখেছিলাম। সেটির রূপরেখা শুনিয়েছিলাম প্রদীপদাকে। গল্পটি নিয়ে আমি আর এক বাঙালি পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে অনুরোধ করেছিলাম সেটির চিত্রনাট্য তৈরি করতে। এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার ঋতুদার সঙ্গে আমি বসেও ছিলাম।চিত্রনাট্যের কাজ কিছুটা এগিয়েছিল।পাওয়া গিয়েছিল প্রযোজকও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।পরিচালক প্রদীপদা গল্পটি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছিলেন।”প্রসঙ্গত বাবুল জানালেন পরিচালক ঋতুপর্ণ যেটুকু চিত্রনাট্য করেছিলেন সেটুকুই তাঁর ভাই ইন্দ্রনীল ঘোষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra | Pradip Sarkar | “‘পরিণীতা’তে অভিনয় করার অফার পেয়েছিলাম,কিন্তু..”, শ্রীলেখা
প্রদীপ সরকারের সঙ্গে বেশ কিছু অ্যাডফিল্মে জিঙ্গল গেয়েছেন বাবুল। পুরনো স্মৃতি উগরে দিয়ে বাবুল আরো জানালেন,”প্রদীপদাকে নিয়ে অনেক কথা মনে পড়ছে। ‘লাগা চুনারি মে দাগ’ ছবিতে অভিষেক বচ্চনের লিপে আমার একটা গান ছিল ‘জারা গুনগুনালে চলো…:। গানটির দৃশ্য গ্রহণ হয়েছিল সুইজারল্যান্ডে। এই গানটি রেকর্ডিং এর সময় মুম্বইতে দাদার সঙ্গে দারুণ সময় কেটেছিল। প্রদীপদা বাড়ি থেকে আমাদের জন্য খাবার তৈরি করে স্টুডিওতে আনতেন। অত্যন্ত খাদ্য রসিক ছিলেন তিনি।”
প্রদীপদা যে শুধু ভালো পরিচালক ছিলেন তা নয়, তিনি খুব তাড়াতাড়ি কারোর প্রতিভা চিনতে পারতেন। সেইসঙ্গে কদরও করতেন। সুরকার শান্তনু মৈত্রকে দাদা ‘পরিণীতা’ ছবিতে দারুন ব্রেক দিয়েছিলেন।এমনটাই মনে করেন বাবুল সুপ্রিয়।
এত অল্প বয়সে প্রদীপদার চলে যাওয়াটা কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না গায়ক বাবুল।জানালেন,”সকালবেলা এই খবর পাওয়ার পর থেকে মন ভারাক্রান্ত হয়ে আছে”।