কিছুদিন আগেই খবর ছিল যে জনপ্রিয় ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড উইথ বেয়ার গ্রিলস’ শোর জন্য টিভি প্রেজেন্টর গ্রিলস আবার শুটিং শুরু করতে চলেছেন। এবারে তার শোতে তারকা সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে অজয় দেবগনকে। ভারত মহাসাগরের কোন একটি বিপদসংকুল জায়গায় এই এপিসোডের শুটিং হবার কথা ছিল। বাস্তবে তাই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘লুথার’এর হিন্দি রিমেকে অজয়
আজ শুক্রবার ২২ অক্টোবর ডিসকভারি প্লাস চ্যানেল প্রচারিত হবে এই হাড় হিম করা এপিসোড। আন্তর্জাতিক টেলিভিশন প্রেজেন্টার বেয়ার গ্রিলসের নতুন ‘হিরো’ বলিউড অ্যাকশন-নায়ক অজয় দেবগন। গ্রিলসের ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ সিরিয়ালের জন্য এর আগে শ্যুট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেয়ার গ্রিলস শুটিং করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের ‘জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক’ এ। বেয়ার গ্রিলসের এই শোতে বিশ্ব বিখ্যাত একাধিক হলিউড তারকা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সময় অংশ নিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী ব্রাই লারসন,ডেভ বাতিস্তার মত স্টারেরা।

বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে এই শোতে গল্প-আড্ডার ফাঁকে অজয় দেবগনকে দেখা যাবে তার প্রয়াত বলিউডের বিখ্যাত স্টান্টম্যান বিরু দেবগনের প্রসঙ্গে কথা বলতে। বাবার মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ‘সিংঘম’। বাবার কথা বলতে গিয়ে তিনি যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। ২০১৯ সালে ৭৭ বছর বয়সে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন। বলিউডে একশন পরিচালকদের মধ্যে বীরু দেবগনের নাম আজও উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা আছে। শাহেনশা, হিম্মতওয়ালা, ফুল আউর কাঁটে-র মতো একাধিক সুপার ডুপার হিট ছবির সঙ্গে বীরুর নাম জড়িয়ে রয়েছে। বেয়ার গ্রিলসের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অজয় জানান যে মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তাঁর বাবা।

অ্যালজাইমার রোগ তো ছিলই পাশাপাশি যুবক বয়সে একবার স্টান্ট করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ভাবে আঘাত পেয়েছিলেন বীরু। শেষ সময় তার মাথায় ৪৫ টি সেলাই হয়েছিল। শেষ বয়সে সেই আঘাতের ফল নতুন করে ভুক্ত হয়েছিল তাঁর বাবাকে।এসব কথা বলতে বলতে অজয়ের চোখে জল চলে আসে। ভারাক্রান্ত গলায় অজয়কে বলতে শোনা যায় “নিজের বাবা-মাকে হারানোর যন্ত্রণা অত্যন্ত কঠিন। যুবক বয়সে নিজের বাবা-মাকে অনেক সময় বোকা মনে হয়। মনে হয় আমরা যা করছি সেটাই ঠিক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যত বয়স বাড়ে তখন বাস্তবটা অনুধাবন করা যায়। মনোভাবের পরিবর্তন হয়। তারপর যখন নিজেদের সন্তান হয় তখন স্পষ্ট বোঝা শুরু করি বাবা মায়ের ভূমিকা আমাদের জীবনে ঠিক কি ছিল”।