রাশি রাশি তাঁর গল্প বোনা, জমিয়ে রাখা বেরঙিন ক্ষোভ, জামের কষে রামধনুর বেগুণী ঘষে একটি অদৃশ্য বুক পকেট থেকে, দাড়িতে জটা নিয়ে এই ইহজগৎ-এর সাথে ওঁ আলাপ করতে এলো। কারণ উনি নাকি তেঁতুল বনে হারিয়ে গিয়েছিলেন, পথ পেতেই মনে পড়ছে এই হারানো রাস্তার সাথে তাঁর ‘হয়নি আলাপ’।
তবে আলাপ করে হলোইবা কি? তিনি তো বলেই দিলেন “তুমি আর কোথায় পেলে সেই আমাকে”? তাই তো না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে শ্রোতারা বলছে তাহলে “আমায় অন্ধ করে দাও”। কিন্তু অন্ধ হতে চাওয়া তো নিছক বোকামি তাই ‘বোকার মতো’ তাকায়ি শ্রোতা বুঝতে পেরেছে সেই ম্যাজিক ম্যানের ‘পায়ের আওয়াজ পেলেই বুকের ভেতরটা চমকাবে’। তাই তারা এখন বলতে শিখল “যদি এইটুকু অভিমান বুঝতে না পারো সত্যি আমার কিছু করার নেই”। তবে জানা যাচ্ছে গান তৈরী করা ছাড়া এই ম্যাজিশিয়ানের বিশেষ কিছু করার নেই। বাড়তি কাজ বলতে ওঁ নাকি জোনাকি ধরে। এমনকি খুব ভালো করে খোঁজ নিলে লোকে বলছে ‘ও নকি জোনাকি ধরেছে, ধরেছে খালি হাতে’।
আর জোনাকির আলোয় একটু একটু করে কখনও চুলে আগুন ধরিয়ে, কখনও আবার চুল পুরোপুরি উড়িয়ে তিনি বিরাজমান হচ্ছেন আর আন্দাজে খোঁজ নিচ্ছেন ‘কার কাছে আগুন আছে’? মনে হতেই পারে তাহলে কি লোকটা হেয়ালি করছেন? উত্তর, একদমই না।
কারণ তাঁর “একতারাটার সুরগুলো খুব একা” তাই “প্রিয় বন্ধু্কে প্রিয় গান” উপহার দিয়ে বিনিময়ে মুঠো ভরতি ‘খোলাম কুচি’ নিয়ে তিনিই কেবল বলার সাহস রাখেন “আমি তো করিনি বাবা কিছু”। তবে এটা পরিস্কার যতই আপনি চেষ্টা করুন শ্রোতারা কিন্তু একবারও ভাবছে না আপনি “পাগল নাকি”? বরং তারা বলছে “বুকপকেটে ভরা বজ্রপাতে তোমাকে ভালোবাসা ফুরোবে না”। শুভ জন্মদিন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়।