একাধিক অসুস্থতা নিয়ে জর্জরিত হয়েছিলেন ‘নিউ ওয়েভ সিনেমা’র স্রষ্টা বিশ্ববরেণ্য পরিচালক জ্যঁ লুক গোদার। যার ফলে ‘নিষ্কৃতি মৃত্যু’ অর্থাৎ ‘অ্যাসিস্টেড সুইসাইড’ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যু হয় সুইজারল্যান্ডে। ১৯৩০ সালে প্যারিস শহরে তার জন্ম হয়েছিল। সুইজারল্যান্ড এর জেনেভার লেকের তীরে ছিল তার শৈশবের বিদ্যালয়। তাঁর কর্মজীবনের প্রথম অধ্যায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। ‘জাম্প কাট’ শট ছিল তাঁর চলচ্চিত্র কৃষ্টি’র অন্যতম আবিষ্কার। ১৯৬০ সালে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘ব্রেথলেস’ চলচ্চিত্রে এক নতুন ভাষার জন্ম দেয়। চলচ্চিত্রের একটা নিজস্ব ভাষা রয়েছে। সে কথা পৃথিবীর বরেণ্য পরিচালকরা যেমন স্বীকার করেন তেমনি পাশাপাশি নিজস্ব ভাষাও তৈরি করেন। জ্যঁ লুক গোদারের নাম সেক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। অনেক আন্তর্জাতিক স্তরের পরিচালকদের কাছেই তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। এদের মধ্যে মার্টিন স্কোরসিস,কোয়েন্টিন টরেন্টিনো, স্টিভেন সোডারবার্গ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গোদারের ভক্ত ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনও। গোদার ছিলেন নিউ এজ ছবির জনক। অন্যদিকে ভারতবর্ষের চলচ্চিত্রজগত এক নতুন বিপ্লব এনেছিলেন মৃণাল সেন। চলচ্চিত্রের তিনিও এক নতুন ভাষা তৈরি করেছিলেন। এই দুই বরেণ্য পরিচালকের বিদেশে দেখা হয়েছিল কখনো। এক ফ্রেমে এই দুই পরিচালক ধরা দিয়েছিলেন। সে কথার উল্লেখ করে গিয়েছিলেন :কলকাতা ৭১’ ছবির পরিচালক মৃণাল সেন তাঁর লেখা বই ‘তৃতীয় ভুবন’ এ। জনৈক চিত্রগ্রাহকের তোলা সেই ছবি গতকাল গোদারের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মৃণাল-পুত্র কুনাল সেন। সাতের দশকের গোড়ার দিকে গোদারের ছবি দেখে কিভাবে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন কুনাল সে কথাও স্মরণ করেছেন।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.