বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তৃণমূলকে একসুরে বিঁধল সিপিএম এবং কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বুধবার বহরমপুরে বলেন, তৃণমূল আবার রাজ্যে বিজেপিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে। বিজেপি পার্টি ঘুমিয়ে পড়েছিল। সেই বিজেপিকে ঘুম থেকে তোলার চেষ্টা চলছে। কারণ রাজ্যে বিজেপি থাকলে ভোট ভাগের সুবিধা পাবে তৃণমূল। অধীর বলেন, মঙ্গলবার কলকাতা এবং হাওড়ায় শক্তি প্রদর্শন করতে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। নাটক হয়েছে, যাত্রা হয়েছে। আর হয়েছে হল্লা বোল।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির ফুটো বেলুনে পাম্প দিল মমতার বাহিনী। দুর্বল বিজেপিকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য কলকাতা থেকে গ্রাম পর্যন্ত দারুণ সক্রিয় ছিল গতকাল তৃণমূলের প্রশাসন। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান তুলেছিল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। দলের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার অবশ্য একটু ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জনগণের দাবি নিয়ে প্রতিবাদ, আন্দোলন করার অধিকার সকলেরই আছে। কোনও সরকার তা কেড়ে নিতে পারে না। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা যেত। তা না করে তৃণমূল সরকার পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে তার মোকাবিলা করল। এরপরই তাঁর মন্তব্য, এই রাজ্যে ফ্যাসিবাদী শক্তির জমি তৈরি করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল দায়ী।
শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ও। তিনি টুইটে লেখেন, শুধু মমতার প্যানিক এবং দলদাস পুলিশের ওভার রিঅ্যাকশন বিজেপির নবান্ন অভিযানের সাফল্যকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।