মুম্বই: মাঝে তাঁদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক অনেকটাই জোড়া লেগে গিয়েছিল বলে অনেকের মনে হয়েছিল। তারপর আবার তাদের পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছে। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী- আলিয়ার (Nawazuddin-Aaliya) দাম্পত্য কলহ (Family Dispute) এখন চর্চার বিষয় হয়ে গেছে।
কয়েক দিন আগেই নওয়াজের স্ত্রী আলিয়ার নামে এফ আই আর করেছিলেন অভিনেতার মা। বেশ কয়েক বছর ধরেই বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা নামাজের পারিবারিক বিবাদ জনসমক্ষে চলে এসেছে। কয়েকদিন আগেই আলিয়া অভিযোগ এনেছেন নামাজ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিছানা-বাথরুম বাড়িতে ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Nawazuddin Siddiqui Court Notice: নওয়াজউদ্দিনকে নোটিশ পাঠালো আদালত
এর আগে আলিয়া সিদ্দিকী অভিনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগও এনেছিলেন। ফলত বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও সে আবেদন পরে তিনি তুলে নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আলিয়া- নওয়াজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
আইনজীবী বলেছেন, “২০০১ সালে ক্লাস এইট ফেল আলিয়া বিয়ে করেন বিনয় ভার্গভ নামের এক ব্যক্তিকে। সেই সময় আলিয়ার নাম ছিল অন্য। তাঁর নাম ছিল অঞ্জলি কুমারী। মুম্বইয়ে আসার পর তাঁর নাম হয় অঞ্জলি পাণ্ডে। ২০১০ সালে নাম পাল্টে হয় অঞ্জলি আনন্দ। জৈনবে রূপান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করেন তিনি। তারপর অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। তাঁকে ডিভোর্সও করেন ২০১১ সালে। এর পর অভিনেতার কেরিয়ার দুর্দান্ত গতিতে ছুটতে থাকে। অভিনেতার জীবনে আলিয়া হয়ে ফিরে আসেন তিনি। ২০২০ সালে ফের নওয়াজ়কে ডিভোর্সের নোটিস পাঠান আলিয়া। এর কোনও অর্থই নেই। কারণ, তাঁরা দু’জনেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন।” আইনজীবী এও বলেছেন, আলিয়ার জরুরি শংসাপত্রগুলিতে নাকি ভুল তথ্য দেওয়া রয়েছে। তাঁর মার্কশিটে জন্ম সাল লেখা ১৯৭৯। পাসপোর্টে রয়েছে ১৯৮২।
আইনজীবী বলেছেন, “২০০৮-২০০৯ সাল নাগাদ অঞ্জনা (পড়ুন আলিয়া) রাহুল নামের আরও এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকতেনও। রাজকুমার শুক্লা নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন অর্চনা। তাঁদের ডিভোর্স হয়নি।”