কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার হলেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। রূপাকে গ্রেফতার করেছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বইমেলায় ছিনতাই করেছেন। অভিনেত্রী রূপা দত্তর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্তার মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। এ খবর প্রকাশে আসতেই বিনোদন জগতের সাড়া পড়ে গেছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন।
পায়েলের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে রূপাও অনুরাগের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন অনুরাগ তাকে ফেসবুকে একাধিক আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। সে সময় রূপার তোলা অভিযোগ নিয়ে অভিনয় জগত সরগরম হয়ে উঠেছিল। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে রুপা জানিয়েছিলেন একবার নয় একাধিকবার এই ধরনের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন।যেখানে অনুরাগ তাঁকে বলছেন, বিবাহিত মহিলাদের প্রতি তাঁর আকর্ষণের কথা। তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে অনুরাগের পরিচয় হয়েছিল।মেসেজগুলি ২০১৪ সালের। রূপার দাবি, অনুরাগের ওই নামে একটি অ্যাকাউন্ট ছিল ফেসবুকে। সেখান থেকেই তাঁর কাছে অশালীন মেসেজ আসত। হিন্দিতে লেখা ট্যুইটে, সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে রূপা লিখেছেন, এমন নোংরা কথার জন্যই অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছেন তিনি।
পরবর্তীকালে অবশ্য দেখা যায় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে তোলা তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে ওই ব্যক্তি অনুরাগ কাশ্যপ নয়, অনুরাগ সফর নামে আয়ারল্যান্ডের এক বাসিন্দার চ্যাটের ভিত্তিতে স্ক্রিনশট তুলে ধরেছিলেন রূপা। যা নিয়ে শেষ সময় ন্যাশনাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছিল। পরে অনুরাগ সফর ফেসবুকে পোস্ট করে জানান যে ভারতের ন্যাশনাল মিডিয়াগুলোতে তাঁকেই অনুরাগ কাশ্যপ বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু কিভাবে শনিবার রাতে অভিনেত্রীরূপা দত্ত কে বিধাননগর থানার পুলিশ কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার করলেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এদিন রূপার ব্যাগ থেকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ আসল পরিচয় জানতে পেরে যথেষ্ট হতবাক। এইটা কার সঠিক হিসেব রূপা দিতে পারেননি। পুলিশ রুপার কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে যেখানে কবে কত টাকা তিনি উঠেছেন তা লেখা রয়েছে। তার ব্যাগে পাওয়া এই ৭৫ হাজার টাকার সঠিক ব্যাখ্যা অভিনেত্রী দিতে পারেননি। পুলিশের সন্দেহ রূপা এই টাকা পকেটমারি করেছেন। কিন্তু কেন রূপাকে এই অন্যায়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে! যা নিয়ে পুলিশ যথেষ্ট ধন্দে রয়েছে।