ইসলামাবাদ: ইমরান খানই টার্গেট ছিলেন। কিন্তু, তার গুলিচালানোর পর ইমরানের নিরাপত্তারক্ষীরা পাল্টা গুলি চালালে আততায়ীর কাছেই থাকা এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের জেরায় এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে ওই আততায়ী। একইসঙ্গে, পাকিস্তানের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় ধৃতের মোবাইলে বেশ কছু ধর্মীয় ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, হাসপাতাল থেকেই ইমরান পাকিস্তান বদলের ডাক দিয়েছেন। নতুন জীবন পেয়ে আল্লাকে ধন্যবাদ দিয়ে ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে ইমরান জনগণের কাছে এই পাকিস্তান বদলানোর দায়িত্ব সঁপে দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বরের পর নতুন সরকারের বিষয়ে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য আপনাদের এই দায়িত্ব নিতে হবে। আপনাদের জন্য আপনাদের এই দায়িত্ব নিতে হবে।
আরও পড়ুন Monkeypox: এবার শ্রীলঙ্কায় মাঙ্কিপক্সের থাবা, দুবাই ফেরত যুবকের শরীরে মিলল উপসর্গ
অন্যদিকে, পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির পক্ষ থেকে ওই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে দায়ী করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যা নিয়ে সেখানকার সেনাকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। পাকিস্তানে ওই ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় হামলার আশঙ্কা করছে সেখানকার সরকার। ইমরান খানের পার্টির সমর্থকরা এই হামলা করতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। ইমরান খান এখনও লাহোর হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তিনি বিপন্মুক্ত। বাকি আহতদেরও শুশ্রুষা চলছে। ইমরান খানের এই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পাকিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি কী হয় সেদিকে নজর রয়েছে ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহলের।