মাদ্রিদ: স্পেনে (Spain) এক বয়ষ্ক মহিলা তাঁর প্রতিবেশীকে সেক্স টয় ভর্তি বক্স রাখতে দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁকে রাখতে দিয়েছিলেন, তিনি একবারের জন্যও খুলে দেখেননি যে তাতে কী আছে। কিন্তু যখন দেখলেন, তখন ঘরে পচা গন্ধ ছাড়তে শুরু করেছে। বক্স খুলেই চমকে যান প্রতিবেশী মহিলা। বক্সের ভিতর কোনও ডিলডো ও ভাইব্রেটর (Dildo and Vibrator) নয়, পড়ে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর (Retited Bank Worker ) পচা-গলা মাথা। ঘটনা ঘটেছে স্পেনের সানতানদের (Santander)-এ।
৬৪ বছরের কারমেন মেরিনো (Carmen Merino)-কে আঞ্চলিক ক্যান্টাব্রিয়া আদালত (Regional Cantabria Court) ২০১৯ সালে স্বামী জেসাস মারিয়া বারানদা (Jesus Maria Baranda)-কে খুনের দায়ে গত শুক্রবার ১৫ বছরের হাজতবাসের সাজা দিয়েছে। সেই সঙ্গে মহিলার ভাই সহ আত্মীয়দের ৫০ হাজার পাউন্ড অর্থ জরিমানা হিসেবে জমা করতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Dear Moon: ভারতীয় অভিনেতাকে সঙ্গে নিয়ে রকেটে চাঁদকে ঘুরে দেখবেন জাপানি ধনকুবের
সংবাদ মাধ্যমকে (Press) দেওয়া আদালতের লিখিত রায়ে (Written Ruling) বলা হয়েছে, সম্পত্তির লোভে পড়েই মহিলা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ৬৭ বছরের জেসাস মারিয়া তাঁর স্ত্রী কারমেনকে সমস্ত সম্পত্তির মালিক করে দেন উইল করে। সেই সম্পত্তির লোভে কারমেন স্বামীকে হত্যা করেন। তারপর স্বামীর মুণ্ডকে সিদ্ধ করে তা বক্সে ভরে প্রতিবেশী মারিকে দিয়ে আসে। সবাই জানত মহিলার স্বামী নিখোঁজ। কারমেন নিজেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। প্রতিবেশী মারি কারমেন (Mari Carmen)-কে বক্স দেওয়ার সময় কারমেন মেরিনো বলেছিল, স্বামী নিখোঁজ, পুলিশকে খবর দিলে তদন্তে পুলিশ ঘরে আসবে, তাদের হাতে সেক্স টয় পড়লে বিব্রতজনক অবস্থা তৈরি হবে। তাই জন্য ডিলডো ও ভাইব্রেটর ভর্তি বক্সটা যেন মারি নিজের কাছে রাখেন।
স্বামীকে খুন করার পর দেহ লোপাট করলেও মুণ্ডটা প্রমাণ হিসেবে রেখে দিতে চেয়েছিল কারমেন। নিয়ম অনুযায়ী স্বামী দশ বছরের মধ্যে ফিরে না এলে, প্রমাণ হিসেবে তা দেখিয়ে তিনি সম্পত্তি হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই জন্য স্বামীর মুণ্ডু সিদ্ধ করার পর তা ফয়েলে মুড়ে বক্সের মধ্যে রেখেছিলেন। পুলিশ মুণ্ডুটি উদ্ধারের পর কোনও টিস্যু পায়নি। তবে কাটা মণ্ডুর দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষা করে রিটায়ার্ড ব্যাঙ্কার জেসাস মারিয়ার পরিচয় সনাক্ত করা হয়। কারমেন মেরিনো ছয় মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর পুলিশ হাতে গ্রেফতার হন।