নয়াদিল্লি: পাকিস্তান পিপলস পার্টি (Pakistan Peoples Party)-র নেত্রী শাজিয়া মারি (Shazia Marri) ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। বোল নিউজ (Bol News)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাজিয়া এই হুমকি দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Pakistan Foreign Minister Bilawal Bhutto) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সম্পর্কে কটুক্তি করেছিলেন, যা নিয়ে ভারত সরব হয় এবং তাঁকে যোগ্য জবাব দেওয়া হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় ভারতকে হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের শাসক দলের নেত্রী শাজিয়া।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ওই সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিপিপি নেত্রী বলেছেন, “ভারতের ভুলে যাওয়া উচিত নয় পাকিস্তানের হাতে অ্যাটম বোমা রয়েছে। আমাদের পারমাণবিক মর্যাদার অর্থ চুপ করে থাকা নয়। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা পিছু হটবো না।”
আরও পড়ুন: India vs Bangladesh Test: চট্টগ্রামে বড় জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলে ৩ নম্বরে টিম ইন্ডিয়া
গত শুক্রবার ভুট্টো ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন এবং যে ভাষায় তিনি কথা বলেছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক সমালোচক মহলে নিন্দাও করা হয়েছে। ভুট্টোর ওই বক্তব্যকে ভারত ব্যাখ্যা করেছে, পাকিস্তানের জন্য এটা আরও নিচু স্তরে নামা, আর সেটা এত দিন যা ছিল, তার চেয়েও নিম্ন স্তরে নিজেদের নামিয়ে নিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। কারণ যে কোনও দেশের রাষ্ট্রনেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা, কখনই কাঙ্খিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে এই কথা বলেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। ফলে সমালোচনাটা আরও জোরদার হয়েছে বিলাওয়ালকে নিয়ে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভুট্টো যা বলেছিলেন, তা হল, “ওসামা বিন লাদেন মারা গিয়েছে, কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও বেঁচে আছে এবং সে হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী।” তার আগে নিরাপত্তে পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু (Kasmir Issue) উত্থাপন করায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু (Epicenter of Terror) বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকি তিনি এটাও বলেছিলেন, যে দেশ বিন লাদেনের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয় দেয় এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলা চালানোর ঘটনায় মদত দেয়, সে দেশের কোনও যোগ্যতা নেই অপর কোনও দেশকে উপদেশ দেওয়ার। ওই প্রেক্ষাপটে পাক বিদেশমন্ত্রী ভুট্টো ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণে পথ বেছে নেন।
ভুট্টোর অভব্য ও অন্যান্য আক্রমণের প্রতিবাদে ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “এই মন্তব্য নতুন ধরনের নিচু স্তরে নামা, এমনকি পাকিস্তানের জন্যও। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বোধহয় ১৯৭১ সালের কথা ভুলে গিয়েছেন। ওটা বাঙালি ও হিন্দু জাতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকদের গণহত্যার প্রত্যক্ষ ফল ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, পাকিস্তান তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণে খুব বেশি পরিবর্তন করেছে বলে মনে হয় না। ভারতকে কলঙ্কিত করার জন্য এই প্রয়াসে অবশ্যই প্রমাণের অভাব রয়েছে।”