বেজিং: তাইওয়ানের (Taiwan) কাছ ঘেঁষে ফের সামরিক মহড়া চীনের (China)। লাল ফৌজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার তারা এই মহড়া চালায়। একমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার তারা এমন কাজ করল। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (The People’s Liberation Army) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড রবিবার গভীর রাতে জানায়, তাইওয়ানের ধারেকাছে তারা নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ সামরিক (Joint Combat) মহড়া চালিয়েছে। যাকে তারা পুরোপুরি যুদ্ধ মহড়া বলে বর্ণনা করেছে।
তাইওয়ান দ্বীপপুঞ্জের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা মোট ৫৭টি চীনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখেছে। সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, এই সামরিক মহড়া চালিয়ে তারা নৌ ও বিমান বাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা ঝালিয়ে নিয়েছে। কারণ তাইওয়ানের বহিঃশক্তি ও স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর প্ররোচনাকে সামাল দিতেই এই মহড়া।
আরও পড়ুন: Brazil: ব্রাজিলে বোলসোনারোর সমর্থকদের তাণ্ডব, কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির আবাস দখল
সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ৫৭টি যুদ্ধবিমান ও চারটি যুদ্ধ জাহাজকে সমুদ্রে কসরত করতে দেখেছে। এর মধ্যে ২৮টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমার উপর দিয়ে উড়েছে। কোনও সাধারণ যুদ্ধবিমান নয়, অত্যাধুনিক এবং পরমাণু অস্ত্র (Nuclear Capable) নিক্ষেপে সক্ষম যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে চীন।
গত মাসেও চীন এরকমই মহড়া চালায়। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের এই ঠান্ডাযুদ্ধের শুরু মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইপে সফরের পর থেকে। দুপক্ষের বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে তাইওয়ানের অধিকার নিয়ে। তাইওয়ানের সরকারের দাবি তারা চীনের সার্বভৌমত্ব মানে না। অন্যদিকে, চীনের দাবি তাইওয়ানের ভূখণ্ডের মালিকানা তাদের। এরমধ্যে আমেরিকা তাইওয়ানের পক্ষাবলম্বন করায় চীনের আপত্তি।