ইন্দোনেশিয়া: ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indoneshia)। শুক্রবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.০ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। যা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ২৫ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক সেকেন্ড ধরে এই কম্পন স্থায়ী ছিল। তবে রাত পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রীতিমত নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেকেই ছোটাছুটি শুরু করে দেন বলে জানাচ্ছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
অন্যদিকে প্রাথমিক ভাবে সুনামির আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শক্তিশালী এই কম্পনের পরে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এই কম্পনের পরেই স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ সমস্ত বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। সুমাত্রা দ্বীপের নিয়াহ অঞ্চলে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার মাত্রা ছিল ৬.১। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভুমিকম্প হল ইন্দোনেশিয়া। তুবান থেকে ৯৬ কিমি উত্তরে ছিল এটির উৎপত্তিস্থল। এর আগে গত ১৩ এপ্রিলও ইন্দোনেশিয়ার তনিবর দ্বীপে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯।
আরও পড়ুন: IPL 2023 | KKR vs SRH | ইডেনে আজকের ম্যাচে ভাঙতে পারে এই ৩ রেকর্ড, জানতে হলে পড়ুন
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভোরেই আচমকা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের (Weat Bengal) একাধিক স্থান। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট (National Centre for Seismology) অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের মালদহ (Maldah), দুই দিনাজপুর এবং শিলিগুড়ির (Siliguri) আশেপাশে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে (Richter scale) ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৪.৩। উৎসস্থল শিলিগুড়ি থেকে ১৪০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে বিহারের পূর্ণিয়ায়। ভোর ৫ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের জেরে বাংলাদেশ এবং নেপালের উত্তরেও অল্পবিস্তর কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভুমিকপম্পের কারণে কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। বিহারের ভাগলপুর, কাটিহার, কিষাণগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে পশ্চিম নেপালে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার, কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তার পর আজ ফের কম্পন অনুভুত হল।