Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকইন্টারনেট মাধ্যমের ভবিষ্যৎ যখন মেটাভার্স

ইন্টারনেট মাধ্যমের ভবিষ্যৎ যখন মেটাভার্স

Follow Us :

ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তব পৃথিবী ক্রমেই এক হয়ে যাচ্ছে। আর এই অভাবনীয় বিপ্লব হতে চলেছে মেটাভার্সেস হাত ধরে। সাধারণ মানুষ মেটাভার্স প্রযুক্তিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সংস্কার বলে ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু মেটাভার্স বাস্তবে তার থেকেও আরও বেশি কিছু কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে মেটাভার্সের তুলনা মানে আজকের স্মার্টফোনের সঙ্গে আশির দশকের মোবাইলফোনে তুলনা করার মতো। মেটার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে একটা ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারি। এই মেটাভার্সকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ভবিষ্যতের ইন্টারনেট মাধ্যমের সংজ্ঞাটাই বদলে দেবে, এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মেটা কী ? গ্রীক ভাষা থেকেই এসেছে মেটা। যার অর্থ হল কোনও কিছুকে ছাড়িয়ে যাওয়া। মেটাভার্স এমন একটি জগৎ যেটি মহাবিশ্বের বাইরে। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে তার অস্তিত্ব আছে। বাস্তবে তাকে অনুভব করা যায়। মেটাভার্সের সাহায্যে ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে কোনও কাজ, খেলা, কনসার্ট, সিনেমা বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারার সময় আমরা ব্যবহার করতে পারি। বর্তমানে ডিজিটাল জগতের সঙ্গে মানুষের প্রয়োজন ক্রমশই বাড়ছে। ফেসবুক যে সমস্ত বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তার প্রথমেই রয়েছে মেটাভার্স। মেটা যাতে ভাল ভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য ফেসবুক সম্প্রতি ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য ফেসবুকের তরফে তৈরি করা হয়েছে অকুলাস হেডসেট যা অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দামে অনেক কম। ফেসবুকের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তারা বাজারে অকুলাস নামে অ্যাপটি এনেছে। যার সাহায্যে তারা সকলকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ফর্টনাইটের নির্মাণকারী এপিক গেমস-এর প্রধান মিস্টার শুইনি মেটাভার্স নিয়ে তীব্র উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। 

আরও পড়ুন : ফেসবুক হল ‘মেটা’, নয়া নাম ঘোষণা মার্ক জুকারবার্গের

মেটাভার্স নিয়ে অনেক জল্পনা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই এটাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল বেশকিছু হেডসেট। এগুলো বাজারে ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছে। মেটা ভার্স নিয়ে বর্তমানে অনেক উচ্চাশা রয়েছে তবে সবকিছুই প্রাথমিক পর্যায়ে। মেটাভার্স মানুষের হাতের নাগালে আসে তাহলে তা প্রযুক্তির দুনিয়ায় পরবর্তী দশকে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেই মত প্রযুক্তিবিদদের।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments