লিমা: লিমা (Lima) সহ পেরুর (Peru) একাধিক শহরে নতুন করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দেশের জনতার একাংশ তার তোয়াক্কাই করছে না। প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের (Dina Boluarte) বিরোধীরা রাজধানীর দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। আজ সোমবার সেখানে বিশাল জমায়েতের সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকে তুমুল রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে ইনকাদের (Inca) দেশে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের দাবিতে এবং কারাবাসে থাকা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিল্লোর (Pedro Castillo) মুক্তি চেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে লাতিন আমেরিকার (Latin America) ওই দেশে। প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে পুলিশের সঙ্গে। তবে ১০ জানুয়ারি ছিল এ পর্যন্ত সবথেকে ভয়াবহ দিন। মানবাধিকার কমিশন অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল।
সংঘর্ষ হয়েছিল তিতিকাকা হ্রদের তীরে পুনো (Puno) অঞ্চলের জুলিয়াকা (Juliaca) শহরে। পুনোর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক হেনরি রেবাজা ৬৮ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে অন্তত দু’জনের বয়স ১৯ বছরের মধ্যে। পুনোর আঞ্চলিক স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইসমাইল কর্নোজো স্থানীয় রেডিও স্টেশনকে জানান, কিছু কিছু মৃতদেহে গুলির ক্ষত ছিল।
আরও পড়ুন: Last Nizam of Hyderabad Dies: তুরস্কে মৃত্যু শেষ নিজামের, মাতৃভূমিতে হবে শেষকৃত্য, ছিল অন্তিম ইচ্ছা
ডিসেম্বরের গোড়ায় কাস্তিল্লোকে অপসারণ ও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কংগ্রেস (Congress) ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বর্তমানে বিচারের আগে ১৮ মাস জেলে কাটাচ্ছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তিনি অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কিছুদিন বিক্ষোভের আঁচ কিছুটা কম থাকার পর রবিবার (১৫ জানুয়ারি) অন্তত ৩০০০ মানুষ আন্দাহুয়েইলাস (Andahuaylas) থেকে ট্রাকে চেপে রাজধানীর দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। তাঁদের গন্তব্য পেরুর রাজধানী লিমা। এদিকে গত শনিবার লিমা, কুসকো, কাল্লাও এবং পুনো শহরে আরও ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বোলুয়ার্তের সরকার।