তেল আভিভ: যুদ্ধের দ্বাদশ দিনেও বুধবার রাতভর গাজায় (Gaza) লাগাতার বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েল (Israel)। বিশেষত রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দেওয়ায় ইজরায়েল বেলাগাম আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বোমাবর্ষণে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল গঠন থেকে আমেরিকা তাদের পাশে আছে। এবার নিরাপত্তা পরিষদেও গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এনেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আমেরিকা বিশেষ ক্ষমতা ভেটো প্রয়োগ করে সেই প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে।
এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ্ এল-সিসি সীমান্ত দরজা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু, সমস্যা ত্রাণ ঢোকার রাস্তার ধারেকাছে রাত থেকে বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েল। মধ্যরাতের পর থেকে রাফাহ্ সহ গাজা ভূখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় বোমা পড়ে। খান ইউনুস এলাকায় ১১টি বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি বিমান। এদিন সকালেই মধ্য গাজার আল জাহরা এলাকায় পাঁচটি আবাসন ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে মণ্ডপ সেজেছে নোবেল জয়ী সত্যজিতের সৃষ্টিতে
গাজার সমস্ত বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, অনুষ্ঠানবাড়িতে ঘরছাড়া আশ্রিতদের ভিড়ে উপচে পড়ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকছে বলে জানালেও বাস্তব চিত্রটি অন্যরকম। রাফাহ্ সীমান্ত থেকে এক সাংবাদিক জানাচ্ছেন, আমরা এখানে অপেক্ষা করছি। ২০টি ট্রাক খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গাজায় ঢোকার কথা। কিন্তু, সীমান্ত পেরতে গেলে ইজরায়েলি অনুমতি প্রয়োজন। ওরা সেই অনুমতি এখনও না দেওয়ায় গাজায় কোনও ট্রাক ঢুকতে পারেনি। ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে ইজরায়েল শর্ত খাড়া করেছে। আর সেটা হল, এই খাদ্য ও ওষুধের একটি দানাও হামাস জঙ্গিদের কাছে পৌঁছাবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও খবর দেখুন