কলকাতা: আশঙ্কাই সত্যি হল।
মায়ানমার (Mayanmar) থেকে রোহিঙ্গারা (Rohingya) ঢুকতে শুরু করেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। সম্প্রতি আরাকান আর্মি (Arakan Army) মায়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত দখল নেওয়ার পরে দলে-দলে রোহিঙ্গা জলপথে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে জখম অবস্থায় অনেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারই এই তথ্য জানাল। চিন্তা কি বাড়ছে ভারতের? বাংলাদেশ থেকে ভারতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়বে না তো? এই বিষয়ে অবশ্য ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিদেশমন্ত্রকের কোনও বক্তব্য এদিন জানা যায়নি।
মায়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি বাংলাদেশে সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটার এলাকা আগেই দখল করে নিয়েছে। তারা দেশের রাজধানীর কাছেরও বেশ কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পরছে। যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতেও। ইতিমধ্যে ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ এই সংঘাতের জেরে ঢুকেছে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার জানাল তারা মায়ানমারের সামরিক শাসক জুন্টা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে। ইতিমধ্যে আরাকান আর্মি নাফ নদীতে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে সমস্যায় রয়েছে বাংলাদেশ। তাই সব দিক বজায় রাখতে মায়ানমার ইস্যুতে ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে হাসিনার দলের অংশ নিতে সমস্যা নেই, জানাল নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী সোমবার বলেন, মায়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেই দেশের সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ। এদিন কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বিষয়টিতে সবসময় নজর রাখছেন। বিজিবি, উপকূলরক্ষী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঠাঁই দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেকেই জখম হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মানবিকততার খাতিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়নি। সরকারের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে এই বিষয়ে কিছু জানানো সম্ভব হবে।
দেখুন অন্য খবর: