গ্লাসগো: ৭৭ বছর বয়সে মৃত্যু হল আলি আহমেদ আসলামের (Ali Ahmed Aslam। পেশায় রাঁধুনি (Chef) এই মানুষটি থাকতেন স্কটল্যান্ডের (Scotland) গ্লাসগো শহরে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে একদম ছোটবেলাতে গ্লাসগোয় (Glasgow) চলে আসেন তিনি। ইহজীবনে একটি কীর্তির জন্য বিখ্যাত আসলাম। চিকেন টিক্কা মশালা (Chicken Tikka Masala) পদটির আবিষ্কর্তা তিনি। এই খাবার এখন গোটা ব্রিটেনে (UK) তুমুল জনপ্রিয়।
আসলামের রেস্তোরাঁ শিশমহলের (Shishmahal) তরফে কিংবদন্তি শেফের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লেখে, বন্ধুরা, আজ সকালে মিস্টার আলি চলে গিয়েছেন। আমরা সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং আমাদের মন ভেঙে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতার প্রয়াণে ৪৮ ঘণ্টা রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
১৯৭০ সালে এই শিশমহল রেস্তোরাঁতেই অদ্ভুতভাবে সৃষ্টি হয়েছিল চিক্কেন টিক্কা মশালার, বলছেন রাঁধুনির ভাইপো আন্দলিব আহমেদ। তিনি জানান, রোজ নিজের দোকানেই লাঞ্চ সারতেন কাকা। এই রেস্তোরাঁই ছিল তাঁর জীবন। রাঁধুনিরা প্রায়ই কাকার জন্য কারি বানাত, নিজে টিক্কা মশালা খুব বেশি খেতেন না।
আরও পড়ুন: Pathaan New Song – ‘পাঠান’-এর গানে ফের বাদশা-দীপিকা ম্যাজিক
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপিকে (AFP) ২০০৯ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসলাম জানিয়েছিলেন, এই নতুন পদের আবিষ্কার হয়েছিল এক ক্রেতার অভিযোগের জন্যই। আসলামের বানানো চিক্কেন টিকা বড্ড শুকনো বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই ক্রেতা। সঙ্গে একটু সস চেয়ে নিয়েছিলেন। এরপরেই আসলামের মাথায় আসে, তাহলে সস দিয়েই টিক্কা বানালে কেমন হয়!
কিন্তু আসলামের মাথায় ছিল, ব্রিটিশরা ঝাল খায় না। তাই শুকনো চিকেন টিক্কায় তিনি যোগ করেন ইয়োগার্ট, ক্রিম এবং কিছু মশলাপাতি। এই খাবারটাই এখন ব্রিটেনের রেস্তোরাঁগুলিতে সবথেকে জনপ্রিয় পদ হয়ে উঠেছে। তবে নিঃসন্দেহে টিক্কার জনক মোগলরাই। তাতে সামান্য এদিক-ওদিক করে এখন পাক্কা ব্রিটিশ খাবার হয়ে গিয়েছে। এমনকী প্রাক্তন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী রবার্ট কুক এই খাবারকে ব্রিটিশ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে বর্ণনা করেছিলেন।