কলকাতা: পিছন দিকে হাঁটছে ইরাক (Iraq)! মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ৯ বছর করতে চলেছে সে দেশের সরকার। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল শিয়ারা (Conservative Shia) ইরাকের পার্সোনাল স্টেটাস ল-এ ‘সংশোধন’ করতে চেয়ে এই বিল পেশ করেছে বলে খবর। এই আইন বলবৎ হলে তালিবানি শাসনের মতোই নারী স্বাধীনতা ও অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ইরাকের পার্লামেন্টে এই বিলের বিরোধিতা করছেন রায়া ফইখ (Raya Faiq) এবং তাঁর সহযোগীরা। তাঁর দাবি, এই আইন পাশ হলে মেয়েদের খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়ে যাবে এবং প্রায় সমস্ত পারিবারিক সিদ্ধান্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপরওয়ালাদের হাতে চলে যাবে। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে ফইখ বলেছেন, “মহিলাদের জন্য এই আইন এক বিপর্যয়, কারণ এর ফলে নাবালিকা ধর্ষণ আইনসিদ্ধ হয়ে পড়বে।”
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে ৯০টি রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
এই ধরনের আইন সংশোধন শিয়া মুসলিমরা আগেও করার উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রতিবারই তার তুমুল প্রতিবাদ করেছিলেন ইরাকের মহিলারা। কিন্তু এবার শিয়ারা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ। মাত্র ২৫ জন মহিলা প্রতিনিধি এই আইন পাশ হওয়া রুখতে যথেষ্ট বেগ পাবেন। ইরাকি সংসদের এক মহিলা প্রতিনিধি বলছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে পুরুষ সাংসদরা এই আইনের পক্ষে তাঁরা পুরুষতান্ত্রিক আচরণ করেন। তাঁদের প্রশ্ন, নাবালিকাদের বিয়ে করার মধ্যে অন্যায় কোথায়? এই মানসিকতা অত্যন্ত সংকীর্ণ।
যদি এই কালো আইন পাশ হয়, তাহলে মহিলাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ, সন্তান পালন এবং উত্তরাধিকারের অধিকার খারিজ হয়ে যাবে। তাছাড়া ন্যূনতম ৯ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার মানে তাদের শিক্ষার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হবে।
দেখুন অন্য খবর: