ইসলামাবাদ: ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (Islamabad High Court) রায়ে অস্বস্তি আরও বাড়ল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। গত রবিবার ইসলামাবাদের প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় ইমরান খান (Imran Khan) যে হুমকি-চিঠির কথা উল্লেখ করেছিলেন, তার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আনতে নিষেধ করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্ট এক রায়ে পাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির গোপন বিষয়বস্তু (‘Secret’ Letter) প্রকাশ্যে আনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হাইকোর্টের এই রায় ইমরানের কাছে বিরাট ধাক্কা। পাক প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে ইমরানের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিল আদালতের এই রায়।
এর আগে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদসংস্থা তাদের সংবাদে জানিয়েছিল, ইমরান খান যে চিঠির কথা বলছেন, সেটি একটি অভ্যন্তরীণ কথা চালাচালির নির্যাস। ওই চিঠিটি সম্ভবত পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেছিলেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রককে। এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদসংস্থাগুলি। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট মেনে চলতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: Rahul-Modi: জুমলা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে লুট করছেন ‘ফকির’, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদিকে তোপ রাহুলের
হাইকোর্টের রায়ের আগেই বুধবার সকালে ইমরানের দল বড় ধাক্কা খায়। পাক শাসকের অন্যতম জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কৌমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (MQMP) সকালে জানিয়ে দেয়, জাতীয় স্বার্থে তারা বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে। তারও আগে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) প্রধান বিলাবল ভুক্ত জারদারি দাবি করেন, এমকিউএমপি-র সঙ্গে তাদের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পিপিপি পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে, তাকে সমর্থন করবে এমকিউএমপি। তারা সঙ্গত্যাগ করায় পাক সংসদের নিম্নকক্ষে ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা। তার আগেই ইমরান খান ইস্তফা দিতে পারে বলেও বিস্তর জল্পনা চলছে। বুধবার তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলেও ঠিক ছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়।