কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞান, এগোচ্ছে মানুষ। অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ছে চিন্তাধারায়। জ্যোর্তিবিদ্যায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নাসা। শনিবার ফরাসি গায়ানার কৌরো মহাকাশ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করল মস ওয়েব টেলিস্কোপ(James Webb Space Telescope) । অত্যাধুনিক জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বহনকারী রকেটটি হল আরিয়ান ফাইভ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাশূন্যে পৌঁছে কোটি কোটি বছর আগে সৃষ্টির সূচনায় প্রাচীনতম ছায়াপথগুলোর স্পষ্ট ঝলক দেখার সুযোগ করে দেবে ওয়েব টেলিস্কোপ। যা পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে। তুলে আনবে মহাবিশ্বের ছবি।
তারা গঠিত হওয়ার জায়গায় পৌঁছবে জেমস ওয়েব। বিশেষত, পৃথিবীর সাথে মিল রেখে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এই টেলিস্কোপটি। এখন পর্যন্ত জ্যোতির্বিদ্যায় বানানো জটিলতম বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির মধ্যে একটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ৷ দশ বিলিয়ন ডলার খরচ হওয়ায় অন্যতম ব্যয়বহুলও৷ জেমস ওয়েব কাজ করবে মূলত ইনফ্রারেড আলো দিয়ে৷
ইনফ্রারেড দিয়ে কাজ করবে বলে, জেমস ওয়েব ঠান্ডা রাখতে বিশেষ নকশা তৈরি করা হয়েছে৷ সূর্যের তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা করতেই এটি তৈরি করা হয়েছে। একটি টেনিস কোর্টের সমান সানশেড দেওয়া হয়েছে এটিতে৷ জেমস ওয়েবে রয়েছে ১৮টি আয়না।নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টেলিস্কোপটির এল ট্যুতে পৌঁছতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। এটি প্রায় ছয় মাসের মধ্যে মহাবিশ্বের ছবি তোলা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে যারা কাজ করেছেন তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা পালটে দিয়েছিল হাবল টেলিস্কোপ৷ ১৯৯০ সালে মহাকাশে পাঠানো হয় এটিকে। মহাবিশ্বের ১৩.৪ বিলিয়ন পুরনো প্রচীনতম ছায়াপথ ‘জিএন-জেড ১১’র ছবি তুলেছিল। এবার তার উত্তরসূরি ‘দ্য জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ’৷ হাবলের মতোই জেমস ওয়েবও জ্যোর্তিবিদ্যাকে এগিয়ে নেবে৷
নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তৈরি করেছে। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বের শুরুতে বিবর্তনের ইতিহাস জানা যাবে। কবে মহাবিশ্বে প্রথম আলো জ্বলে উঠেছিল এবং প্রথম নক্ষত্রগুলোর গঠন কীভাবে শুরু হয়েছিল।