কাবুল: বাটখাক স্কোয়ারে গুরুদ্বারে জঙ্গি হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত শিখ সমাজ। কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়েছে ওই গুরুদ্বারে। উপাসনাস্থলে থাকা অনেকেই পালিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন। হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় এর আগে আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান। আজকের ঘটনার সঙ্গে তার যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার সকালে কাবুলের বাটখাক স্কোয়ারে গুরুদ্বারের পাশে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, আচমকা গুরুদ্বারে একদল জঙ্গি হামলা চালায়। গুরুদ্বারে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করেছে দুই হামলাকারী। কতজনের মৃত্যু হয়েছে বা কতজন জখম হয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুদ্বারের গেটের বাইরে বিস্ফোরণে অন্তত দুই আফগান নিহত হয়েছেন। পণবন্দিদের জীবিত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করেছে তালিবানের বাহিনী। প্রাথমিক অনুমান, পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখা ‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’ (আইএসকে) এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। গুরুদ্বার দশমেশ পিতা গুরু গোবিন্দ সিং কার্তে পারওয়ানের সভাপতি গুরনাম সিং জঙ্গি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu: ঝালদায় তপন খুনের চার্জশিটে পারিবারিক বিবাদের উল্লেখ, নাম নেই আইসির
গুরুদ্বারে বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আফগান হিন্দু ও শিখদের উপর হামলার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। সেই সময় বহু শিখ ধর্মাবলম্বী সেদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। যদিও তালিবান আশ্বাস দিয়েছিল, শিখদের কোনও ক্ষতি হবে না।