নেপিডো: মায়ানমারের (Myanmar) জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি এবং কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আউং সান সু চি-কে (Aung San Suu Kyi) চার বছর হাজতবাসে (Jailed For Four Years) থাকার নির্দেশ দিল মায়ানমারের বিশেষ আদালত৷ সোমবার আদালতের নির্দেশের কথা জানান জুন্টা সরকারের মুখপাত্র৷
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে৷ সেই থেকে গৃহবন্দি ৭৬ বছরের সু চি৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গ, দুর্নীতি, নির্বাচনে কারচুপি, হিংসায় উস্কানি-সহ একাধিক অভিযোগ এনে মামলা শুরু করে মায়ানমারের সামরিক সরকার৷ ৫ জুন থেকে নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে শুরু হয় বিচার৷ যার একটি মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করেছে আদালত৷ সংবাদসংস্থা এএফপিকে ফোনে জুন্টা সরকারের মুখপাত্র জ্য মিন টুন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার জন্য সু চি-কে দু’বছর এবং কোভিড বিধি ভঙ্গের জন্য আরও দু’বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে বিশেষ আদালত৷
আরও পড়ুন: PM Modi: দেশের প্রাপ্তবয়স্কের ৫০ শতাংশের দু’টো ডোজ সম্পূর্ণ, মোদির বাহবা পেল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এ দিন রুদ্ধদ্বার কক্ষে সু চি-র বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলে৷ আইনজীবীরা ছাড়া এজলাসে আর কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না৷ সু চি-র আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা হিংসায় উস্কানির অভিযোগ খারিজের দাবিতে জোরাল সওয়াল করেন৷ আদালতকে তিনি জানান, সু চি-র দল ফেসবুক পোস্টে নানা বিবৃতি দিয়েছে৷ তাই সু চি এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিন্টকে ওই সব মন্তব্যের জন্য দায়ী করা যায় না৷ তার উপর দু’জনেই গৃহবন্দি৷ কিন্তু আদালত সেই বক্তব্য খারিজ করে সু চি এবং অন্যান্যদের সাজা ঘোষণা করে৷
মায়ানমারের সামরিক সরকার বিরোধীদের অভিযোগ, পরবর্তী নির্বাচনে সু চি-র অংশগ্রহণ আটকাতে তাঁর কাঁধে এত মামলার বোঝা চাপানো হয়েছে৷ মায়ানমারের সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জেল খাটা ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হতে অথবা কোনও উচ্চপদে বসতে পারবে না৷ সংবিধানের সেই ধারাকে হাতিয়ার করে সু চি-র রাজনীতিতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করতে চাইছে জুন্টা সরকার৷