রোম: গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে, এই ভেবে আগে থেকেই নিজের ইস্তফাপত্র (Resignation Letter) লিখে রেখে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। ২০১৩ সালে তিনি পোপ নির্বাচিত হন, তখনই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে পারে, যখন তিনি গুরুতর ও স্থায়ী অসুস্থতার (Severe and Permanent Ailment) ফলে তাঁর দায়িত্ব সামলাতে অক্ষম হয়ে পড়তে পারেন। সে জন্যই তিনি পদত্যাগপত্র ২০১৩ সালেই লিখে রেখে দিয়েছেন এবং তা জমাও দিয়ে দিয়েছেন। একটি স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমকে (Spanish News Media) দেওয়া সাক্ষাৎকারে (Interview) পোপ ফ্রান্সিস নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। গত শনিবার ৮৬ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই আছে তাঁর। কেবলমাত্র হাঁটুর সমস্যা ভোগাচ্ছে তাঁকে।
লেখার পর ইস্তফাপত্রটি নিজের কাছে না রেখে দিয়ে ভাটিকান সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল টার্চিসিয়ো বার্টোন (Vatican Secretary of State Cardinal Tarcisio Bertone)-এর হাতে তিনি দিয়ে দিয়েছেন। ফ্রান্সিসের আগে যোড়শ বেনেডিক্ট (Benedict XVI) পোপ ছিলেন। ২০১০ সালের ১৩ মার্চে ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথোলিক চার্চের (Roman Catholic Church) পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরেও ছয় মাস সেক্রেটারি অব স্টেট পদে ছিলেন বার্টোন। এদিকে, পোপ ফ্রান্সিস প্রায়শই বলে থাকেন, শারীরিক দুর্বলতার কারণে ১৩০ কোটি সদস্য বিশিষ্ট রোমান ক্যাথোলিক চার্চ (Roman Catholic Church)-এর নিয়মিত দায়িত্ব সামলাতে তিনি যদি না পারেন, তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
যদি স্বাস্থ্য সমস্যা অথবা দুর্ঘটনার (Health Problem or Accident) কারণে পোপ যদি তাঁর দায়িত্বে বাধাপ্রাপ্ত হন, তার জন্য কি কোনও আনুষ্ঠানিক নিয়মবিধি (Official Norms) থাকা উচিত? পোপ ফ্রান্সিসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এবিষয়ে তাঁর মতামত কী? তার জবাবে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, “আমি ইতিমধ্যেই আমরা ইস্তফাপত্রে সই করে দিয়েছি। টার্চিসিয়ো বার্টোন সেক্রেটারি অব স্টেট ছিলেন। আমি পদত্যাগ পত্রে সই করি এবং তাঁকে বলেছিলাম – চিকিৎসাগত কিংবা যাই কারণ হোক, এই নিন আমার পদত্যাগপত্র।” এরপর, তিনি বলেন, “আমি জানি না কার্ডিনাল বার্টোন কাকে দিয়ে গিয়েছেন, তবে তিনি যখন সেক্রেটারি অব স্টেট ছিলেন, তখন আমি তাঁকে দিয়ে দিয়েছি।”
উল্লেখ্য, ফ্রান্সিসের আগেকার পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের বর্তমান বয়স ৯৫ বছর। ২০১৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। বিগত ছয় শতাব্দীতে সেটাই ছিল কোনও পোপের প্রথম পদত্যাগ। পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন, এর আগে পোপ ষষ্ঠ পল (Pope Paul VI: 1963-1978) এবং পোপ দ্বাদশ পায়াস (Pope Pius XII: 1939-1958) তাঁর মতো অগ্রিম ইস্তফাপত্র লিখে রেখে দিয়েছিলেন। তিনি সেই পথেই হেঁটেছেন।
 লিখে রেখে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। ২০১৩ সালে তিনি পোপ নির্বাচিত হন, তখনই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে পারে, যখন তিনি গুরুতর ও স্থায়ী অসুস্থতার (Severe and Permanent Ailment) ফলে তাঁর দায়িত্ব সামলাতে অক্ষম হয়ে পড়তে পারেন। সে জন্যই তিনি পদত্যাগপত্র ২০১৩ সালেই লিখে রেখে দিয়েছেন এবং তা জমাও দিয়ে দিয়েছেন।){kind=link}