কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকে অভিযান জারি রেখেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের একাধিক শহরে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে রুশ বাহিনী। অনেক জায়গায় ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর সংঘর্ষও হয়েছে। যুদ্ধে থামার সম্ভাবনা তো নেইই, উল্টে তা আরও বড় আকার নিতে পারে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যকলাপে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন ক্রেমলিনের পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। বৈঠকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবহারের জন্য পরমাণুবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। পুতিন বলেন, ‘আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফকে রুশ সেনা বাহিনীর পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে হাই অ্যালার্ট থাকতে বলেছি।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে পুতিনের এই নির্দেশ সেই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের দেশ রাশিয়া। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে পুতিনের হাতে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে চিঠি লিখল ইউক্রেন
রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পশ্চিমের দেশগুলো শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের প্রতি বন্ধুত্বহীন নয়। আমি মনে করি এটা অবৈধ নিষেধাজ্ঞা।’ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠকে ইউক্রেনকে দমন করার রণকৌশল ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টিও রয়েছে।