কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে (Russia-Ukraine War) আমেরিকা তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দেওয়ায় পাল্টা জবাব দিল রাশিয়া। এবার তাদের লক্ষ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station)। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রোশোকসমস-এর ডিরেক্টর জেনারেল দিমিত্রি রোগোজিন (Dmitry Rogozin) এক টুইট বার্তায় আমেরিকাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অরবিট এবং লোকেশন কিন্তু নিয়ন্ত্রিত হয় রুশ ইঞ্জিনের মাধ্যমে। এটা যেন আমেরিকা (America) মাথায় রাখে। যদি এই স্টেশন উড়িয়ে দেওয়া হয়, তার ফল কী হবে, বুঝতে পারছে তো আমেরিকা?
Альцгеймера. На всякий случай. Во избежание того, что ваши санкции упадут вам на голову. Причем не только в переносном смысле
Поэтому пока еще по-партнерски предлагаю вам не вести себя как безответственный геймер, дезавуировать заявление о "санкциях Альцгеймера ". Дружеский совет— РОГОЗИН (@Rogozin) February 24, 2022
রাশিয়া (Russia) জানায়, এই মুহূর্তে নাসার চার মহাকাশচারী ওই মহাকাশ স্টেশনে কাজ করছেন। তার মধ্যে দুজন রাশিয়ার এবং দুজন ইউরোপের মহাকাশচারী রয়েছেন।
ওই টুইট বার্তায় রোশোকসমস-র প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যদি আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ অবরুদ্ধ করে দেন, তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে (ISS) কে রক্ষা করবে? অনিয়ন্ত্রিত অরবিট পরিচালনার কারণে যদি আমেরিকা কিংবা ইউরোপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভেঙে পড়ে, তখন কী হবে?
রোগোজিন আরও বলেন, ৫০০ টন ওজনের ওই মহাকাশ স্টেশন ভারত কিংবা চীনের মধ্যেও পড়ে যেতে পারে। রাশিয়া কি ওই দুই দেশকেও হমকি দিচ্ছে? আমেরিকার এটা মনে রাখা উচিত যে, আইএসএস রাশিয়ার উপর দিয়ে চলাচল করে না। ঝুঁকি কিন্তু তাদেরই। আমেকিরা কি সেই ঝুঁকি গ্রহণ করতে প্রস্তুত?
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের জন্য বন্ধ রাশিয়ার আকাশসীমা
নাসার এক মুখপাত্র বিদেশি সংবাদ সংস্থা সিএনএন-র প্রতিনিধিকে জানান, তারা সমস্ত আন্তর্জাতিক অংশীদারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তার মধ্যে রাশিয়াও রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারে, তা সকলেরই দেখা উচিত।
নাসা অবশ্য রাশিয়ার হুমকি প্রসঙ্গে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু তারা বলছে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রাশিয়া, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিশ জনসন হাউস অফ কমন্সে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।