কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে শপথ নিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেশের অষ্টম প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সূর্য। ২০-২৫ জনের মন্ত্রিসভা গঠিত হবে আর দু-একদিনের মধ্যেই। নির্বাচনে জয়ী হলেও বিক্রমসিঙ্ঘের বিরুদ্ধে এখনও আন্দোলন চলছে। এদিনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বাইরে ‘গো ব্যাক রনিল’ স্লোগান দিতে থাকেন সরকার-বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনৈতিক ভরাডুবির মুখে কলম্বো ছেড়ে পালান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। যদিও সিঙ্গাপুর অভিবাসন দফতর তাঁকে ১৪ দিনের স্বল্পমেয়াদি পর্যটক ভিসার অনুমোদন দিয়েছে। এখান থেকে রাজাপক্ষের সৌদির জেড্ডায় যাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Sonia Gandhi: রাজনৈতিক কণ্ঠরোধে অস্ত্র এজেন্সি, সোনিয়াকে তলবের জবাবে যৌথ বিবৃতি বিরোধীদের
এদিকে, রনিল জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এই সংকটের মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে নয়াদিল্লি। কলম্বোস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, শ্রীলঙ্কার স্থায়িত্ব, আর্থিক উন্নয়নের জন্য ভারত তাদের পাশে থাকবে।
শ্রীলঙ্কার এই দুর্দশা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। সিআইএ প্রধান বিল বার্নস বলেন, চীনের কাছ থেকে অন্ধ বা নির্বোধের মতো আগুপিছু না ভেবে ঋণ নেওয়ার কারণেই দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার আজ এই দুরবস্থা। চীনের যা সামর্থ্য, তাতে ভাত ছড়ানোর মতো তাদের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলিরও এটা খেয়াল রাখতে হবে যে কারণে শ্রীলঙ্কার এই দশা, তা যেন তাদের ক্ষেত্রে না ঘটে। বার্নস তাই সকলকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, চোখ খোলা রাখুন। চীনা বিনিয়োগের এ ধরনের টোপে পা দেওয়ার আগে কয়েকবার ভেবে নিন। এই ঘটনা কেবল আরবভুক্ত দেশ কিংবা দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটতে চলেছে তাই নয়। গোটা বিশ্বের কাছেই এটা বিপজ্জনক। তাই চীনের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়ার আগে চোখকান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সিআইএ প্রধান।