
নয়াদিল্লি: ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির ফানুস ফুটো হয়ে গেল। নিজেকে বিশ্বগুরুর জায়গায় নিয়ে গিয়ে বড়াই করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানের কথা বারবার তুলে ধরেন তিনি। এর আগে মুখোমুখি ভারতের (India) সেনার সঙ্গে চীনের (China) সেনার সংঘর্ষ থেকে শুরু করে সীমান্তে ড্রাগন দখলদারি নিয়ে সেভাবে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার। মানতে চায়নি ব্যর্থতা। অবশেষে স্বীকারোক্তি (Confession)। চীন যে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে অনেকটা জায়গা দখল করেছে তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়ে কোনও বাক্যব্যয় করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যায় সমঝোতা সংক্রান্ত দাবিও করেছিল বিদেশমন্ত্রক। এবার অবশেষে বিদেশমন্ত্রক জানাল, লাদাখে দুটি গ্রাম গড়েছে চীন। এই বিষয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। তা নিয়ে শি জিনপিং সরকারকে বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের উপর চীনের মেগা হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট গড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সেখানে এটা করার ফলে ব্রহ্মপুত্রের নীচের দিকের অংশে ভারতে অরুণাচল প্রদেশ, অসমের মতো রাজ্যে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। লাদাখে এবার এই জোরপূর্বক অধিগ্রহণের বিষয়ে সার্বভৌমত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেছে ভারত। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভারত বেজিংয়ের বেআইনি দখলদারী মানেনি। কূটনৈতিক দৌত্যের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। হোটান পারফেকচারে দুটি নতুন ‘কাউন্টি’ গড়েছে চীন। যা কেন্দ্রশাসিত লাদাখে, ভারতীয় অংশের মধ্যে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ভোপালকে বিষ মুক্ত করতে গিয়ে রণক্ষেত্র পিথমপুর, গায়ে আগুন দিল ২ প্রতিবাদী
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এর আগে বারবার অভিযোগ তুলেছেন এই বিষয়ে। আমেরিকায় গত সেপ্টেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন, লাদাখে দিল্লির আকারের জায়গা দখল করে নিয়েছে চীনের সেনা। এটা একটা বিপর্যয়।
দেখুন অন্য খবর: