ওয়েব ডেস্ক: কাল দুপুরে কি কিছুক্ষণের জন্য থমকে যাবে আর জি কর হাসপাতাল? মায়েদের করতালিতে মুখরিত হবে কল্লোলিনী তিলোত্তমার আকাশ, বাতাস? ১৬৪ দিনের মাথায় আরজি কর কাণ্ডে সোমবার সাজা ঘোষণা।-৯ অগাস্ট, ২০২৪। দুপুর হতেই যে খবর খাস কলকাতা থেকে বিদ্যুৎ বেগে ছড়িয়ে পড়েছিল। ধিক্কারে ফেটে পড়ে সমাজ। রোগীদের শুশ্রুষা করার জন্য কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College Hospital) ভিতর নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। তারপর কলকাতা দেখেছে মায়েদের রাত দখল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাত থেকে তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে দেশ-বিদেশে। ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে কল্প কাহিনী দিয়ে বর্ণনার ছড়াছড়ি হয়েছে। শনিবার ১৬২ দিনের মাথায় সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার (বহিষ্কৃত) সঞ্জয় রাই। রাত পোহালে সোমবার তার সাজা ঘোষণা। কিন্তু তারই মধ্যে যে ঘটনা অবাক করেছে দোষী সঞ্জয়ের ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি। কাল সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তাতে তার কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। যেন কিছুই হয়নি।
কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের সময়ও প্রকাশ্যেই স্বাভাবিক ভঙ্গীতে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে। পুলিশি জেরাতেও সে একেবারে নির্লিপ্ত ছিল। শিয়ালদহ বিশেষ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩, ৬৪ ও ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সঞ্জয়ের। কিন্তু অবাক ঘটনা হচ্ছে এখনও তার মধ্যে কোনও হেলদোল নেই। রবিবার প্রেসিডেন্সি জেলের ৬ নম্বর সেলে একেবারেই ভাবলেশহীন ছিল সে।
আরও পড়ুন: রাজপথে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ঢেউ, ডাক্তারদের সুরে ফের আন্দোলনের ইঙ্গিত!
কৃতকর্মের জন্য ইতিমধ্যে তার মৃত্যুদণ্ড হলেও কোনওরকম অনুশোচনা হবে না বলে জানিয়েছে সঞ্জয়ের পরিবার। ওই নৃশংস ঘটনায় ফাঁসি চেয়ে পথে নেমেছেন ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলেন। কাল সারা দেশের নজর থাকবে শিয়ালদহ আদালতের দিকে। সাজা ঘোষণার আগে ঠিক সারাদিন কেমন কাটল সঞ্জয়ের? জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সঞ্জয়কে সেলের বাইরে বের করা হয়েছিল। অন্য বন্দিদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলেছে সে। স্বাভাবিক খাবারও খেয়েছে।শনিবার রায় ঘোষণার সময় সঞ্জয় বিচারকের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেছিল, আমি কিছু করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। ধস্তাধস্তিতে তা ছিঁড়ে যেতে পারত। বিচারক তাকে বলেন, যা বলার সোমবার বলতে।
দেখুন অন্য খবর: