ওয়েব ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বন্ধুত্বের কথা সবাই জানেন। এমন হয়েছিল যে প্রোটোকল ভেঙে মোদি ট্রাম্পের জন্য ভোটও চেয়েছিলেন। এবার তা আরও গাঢ় হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে চলেছে। যা ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আমেরিকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ছিল ১২৯ বিলিয়ন ডলারের। পুরনো বন্ধু রাশিয়া থেকে সরে গিয়ে তবে কি ভারত আমেরিকার দিকে আরও বেশি ঝুঁকতে চলেছে? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরও পশ্চিমী বিশ্বের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে ভারত। এবার আরও বেশি প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস কেনা হবে আমেরিকা থেকে।
মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, বিশ্বের সব থেকে পুরনো গণতন্ত্র আমেরিকা। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করছি, যা একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আমাদের অর্থনৈতিক চুক্তিগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারতে সামরিক ক্ষেত্রে বিক্রি বাড়াবে। এফ ৩৫ বিমান দেওয়া হবে ভারতকে। কট্টর ইসলামিক সন্ত্রাসের হুমকির প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ভারতের সঙ্গে আগের চেয়ে আরও ভালো কাজ হবে। ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। ৩০, ৪০, ৭০ পর্যন্ত শুল্ক চাপায় ভারত। যেমন ৭০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয় আমেরিকার গাড়িতে। যার ফলে গাড়ি বিক্রি অসম্ভব হচ্ছে। এটা দুই দেশের পদক্ষেপের উপর নির্ভরশীল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি শক্তি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছি। তেল ও গ্যাসের জোগান দেওয়া হবে ভারতকে। ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় কাজ করবে। ভারত, ইজরায়েল, আমেরিকা, বন্দর রেলওয়ে ও সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এদিন ট্রাম্পের কথায় জো বাইডেনের প্রশাসনের চেয়ে তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। এমন কথাও শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ট্রাম্প বললেন “মোদি দেখে নেবেন…”
দেখুন অন্য খবর: