ওয়েব ডেস্ক : ফের উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। গভীর রাতে ঢাকার রাজপথে নেমে এলেন হাজারে হাজারে জনতা। আট বছরের এক বালিকাকে নির্মম ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে যে ঘটনার সূত্রপাত। সে দেশের মাগুরা জেলার ঘটনা। আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল ওই বালিকা (Minor Girl)। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা (Miscreant) ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধর্ষণ ও অত্যাচারে গুরুতর আহত বালিকার অবস্থা আশঙ্কাজজনক। ওই শিশুকন্যা বর্তমানে ঢাকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা।
মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আইন শৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। ধর্ষণ, সন্ত্রাস বেড়েছে। কয়েকদিন আগে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ঢাকায় মিছিলও হয়েছে। চাপা ক্ষোভ ছিলই। নাবালিকাকে ধর্ষণের এই ঘটনা জানাজানি হতেই ফুঁসে ওঠেন সাধারণ মানুষ। রবিবার ও সোমবারের মধ্যবর্তী রাতে এক কাপড়ে পথে নেমে পড়েন হাজার-হাজার জনতা। যা মনে করিয়ে দেয় গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে। মনে করিয়ে শাহবাগ আন্দোলনকে। ফের বিক্ষোভে শামিল বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। বিক্ষোভ চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। ক্যাম্পাসে ‘রাত দখল’ করে রাত দু’টোয় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা রাস্তার দখল নেন। তীব্র নৈরাজ্য ও হিংসার অবসান কবে ও কীভাবে বাংলাদেশে হবে সেই প্রশ্ন তোলেন সবাই। সোমবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় শান্তি ফেরানোর আবেদন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার
বাংলাদেশবাসীর অভিযোগ, দেশে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের অভাব পরিষ্কার। মহম্মদ ইউনুস কবে নির্বাচন করাতে চাইছেন তাও স্পষ্ট নয়। মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন। অগাস্ট মাসে আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসেন। তারপর সেখানে ইউনুসের নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। অভিযোগ, কট্টরপন্থী জামায়াতে ইসলামির প্রভাবে এই সরকার চলছে। সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন বেড়েই চলেছে। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ের দেশে শান্তি নেই।
দেখুন অন্য খবর: