কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা। অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি সদস্যরা হাতে নানা পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাল্টা প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেমে পড়েন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়করা। তাঁদের হাতের প্ল্যাকার্ডে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেল। দুপক্ষের হইহল্লায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বারণ করা সত্ত্বেও শাসক এবং বিরোধী সদস্যদের স্লোগান, পাল্টা স্লোগান চলতে থাকে। বিজেপি সদস্যরা স্লোগান দিতে দিতেই সভাকক্ষ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর শাসকদলের সদস্যরাও বেরিয়ে পড়েন।
পরে লবিতে বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের মুখে স্লোগান শোনা যায়, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর। পাল্টা বিধানসভা চত্বরে শুভেন্দু বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে আর মুখে চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা, স্লোগান দিতে দেখা যায় শাসকদলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের। তাঁরা মিছিলও করেন। তার সামনে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অসীমা পাত্রের মতো মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: Volodymyr Zelensky: দুর্ঘটনার কবলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
চন্দ্রিমা বলেন, আমরা সাধারণত বিধানসভার ভিতরে স্লোগান, বিক্ষোভ দেখাই না। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা স্লোগান দিতে শুরু করায় আমরাও নেমেছি। ওদের ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতা নবান্ন অভিযানের দিন মহিলা সমাজকে অপমান করেছেন। তিনি অভিযানে শামিল না হয়ে সারাদিন লালবাজারে বসে রইলেন। তিনি নাকি আবার বিরোধী নেতা। মন্ত্রীর কঠাক্ষ, উনি তো বড় চোর।
বিধানসভার লবিতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, আমি হলে কপালে গুলি করতাম, এটা বলার অধিকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে। উনি কি সুপার চিফ মিনিস্টার। আমি মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপোকে চ্যালেঞ্জ করছি, সাহস থাকলে বিজেপির একটা কার্যকর্তার কপালে গুলি করে দেখান। আমরা কী করতে পারি, দেখে নেবেন। আমরাও দেখিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল। তিনি বলেন, যারা গরু পাচার, কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত, তাদের খোলা বাজারে নিয়ে গিয়ে জনতাকে উস্কে দিতে আমাদেরও ইচ্ছে করে। ওনার যেমন ইচ্ছে করে, গুলি করতে। কিন্তু আমরা আইনশৃঙ্খলা নিজেদের হাতে তুসে নিতে চাই না।