কলকাতা: পুলিশকে মারলে কি তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, প্রশ্ন তুললেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। শনিবার তিনি বলেন, বিজেপি(BJP) শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। গত মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে(BJP Nabanna Rally) ব্যাপক গোলমাল হয় হাওড়া(howrah) এবং কলকাতায়(kolkata)। আক্রান্ত হয় পুলিশ, তাদের গাড়ি জ্বালানো হয়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে ওইদিন।
অভিযানের দিন কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসেছে কলকাতায়। প্রতিনিধিরা জখম বিজেপি নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তৃণমূলকে ২০২৪ সালে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। বিজেপি নেতারা বলেন, ঘটনার পর শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা পুলিশের হয়ে সাফাই গাইছেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় তৃণমূলকে ২০২৪ সালে শিক্ষা দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের
প্রসঙ্গত, বিজেপির হামলায় জখম কলকাতা পুলিশের এক এসিকে এসএসকেএম হাসপাতালে(SSKM hospital) দেখতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁকে বলেন, আপনার জায়গায় আমি হলে কপাল লক্ষ্য করে গুলি করতাম। অভিষেকের(Abhisek Banerjee) ওই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তমলুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বলেন, পুলিশ সেদিন গুলি চালাতে পারত। কিন্তু তারা সংযম দেখিয়েছে।
শনিবার অভিষেকের সুরেই কলকাতার মেয়র(Calcutta Mayor) বলেন, পুলিশকে মারলে পুলিশ কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? বিজেপির প্রতিনিধিদল আসা নিয়ে মেয়রের মন্তব্য, ওরা তো গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। গুলি কাকে বলে, ওরা দেখেনি। বন্দুকবাজি কী জিনিস, সিপিএম (CPM)আমলে আমরা দেখেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে বাম জমানায় আমাদের কর্মীরা কত গুলি খেয়েছে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই আমার দু’পাশে যারা ছিল, তাদের মধ্যে কমবেশি সকলেই আক্রান্ত হয়েছে। চোখের সামনে অনেকে পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েছে রাস্তায়। নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে ১৪জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি সমর্থকদের মারে জখম কলকাতার দুই পুলিশ অফিসার
ফিরহাদ বলেন, গুলি তো চলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। বাংলা শান্তির নীড়। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে কোনও অশান্তি হয় না। মমতা ছিলেন, আছেন, থাকবেন। দেখুন গিয়ে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কী চলছে। এখানে অশান্তি করে লাভ হবে না।