কলকাতা: জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে (National Ganga Council Meeting) গঙ্গাসাগরকে জাতীয় তীর্থ বলে ঘোষণার দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী (Westbengal CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার কলকাতার (kolkata) আইএনএস নেতাজি সুভাষে দ্বিতীয় জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে সুন্দরবন মাস্টারপ্ল্যান, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনের (Ganga Erosion) সমস্যা রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন (Flood Control Commission) গঠনেরও দাবি তোলা হয়েছে রাজ্যের তরফে। একইসঙ্গে উপকূলবর্তী (Coastal Area) এলাকার বিভিন্ন সমস্যাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য নীতি আয়োগকে নির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে রাজ্যের দাবি।
এদিন জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে মমতা ছাড়াও একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রতিনিধি যোগ দেন। হাজির ছিলেন উত্তপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanatah), উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami), ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren), বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) প্রমুখ। এছাড়াও বৈঠকে যোগ দেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, মাতৃ বিয়োগের কারণে তিনি এদিন কলকাতায় আসতে পারেননি। তবে ভার্চুয়ালি (Virtually) সভায় যোগ দেন মোদি।
আরও পড়ুন: Boat Capsize in Ganga: পাটনার গঙ্গায় নৌকাডুবি, একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা
মালদহ (Maldah) এবং মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গার ভাঙন বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। মালদহের মানিকচক, কালিয়াচক, রতুয়া প্রভৃতি ব্লক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে এদিন বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধূলিয়ান প্রভৃতি এলাকাও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বহু বসতবাড়ি এবং কৃষিজমি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ নিরাশ্রয় অবস্থায় রয়েছেন। রাজ্যের মতে, তাদের একার পক্ষে এই ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারকেও এই ব্যাপারে আর্থিক সাহায়্য করতে হবে। একইসঙ্গে গঙ্গার নাব্যতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।