কলকাতা: গ্রুপ ডি (Group D) মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ ১৯১১ জনের বেতন ফেরত দেওয়ার সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের বাকি নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল না ডিভিশন বেঞ্চ।
অনেক ভুল হয়েছে, এখন সংশোধন করার সময় এসেছে। আমরা সেটাই করছি। কোনও দুর্নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে দেওয়া যায় না। ওই মামলায় এমনই সওয়াল স্কুল সার্ভিস কমিশনের।১৯১১ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। ৩ মার্চ এর পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: Sundarban: জঙ্গল ছেড়ে হাতের কাজ করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন সুন্দরবনের মহিলারা
তবে চাকরিহারা ব্যক্তিদের আইনজীবীর বক্তব্য, এই মামলায় আমাদের যুক্ত করেনি সিঙ্গেল বেঞ্চ। ফলে সেখানে আমরা আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাইনি। এই বিচারপ্রক্রিয়ায় আমরা সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা যতই ঘৃণ্য অপরাধ করিনা কেন আইন অনুযায়ী আমাদের বক্তব্য পেশ করার অধিকার রয়েছে।
যে OMR Sheet র ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এগুলি সব স্ক্যান করা নথি বা এগুলি সব বৈদ্যুতিন নথি। এগুলিকে যে প্রক্রিয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চ গ্রহণ করেছে সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া নয়। এমনই সওয়াল করলেন চাকরিহারাদের আইনজীবীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কোনও প্রার্থী কোনও ভুল তথ্য দিয়েছেন এই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত নেই। কমিশনও আদালতের কাছে এই অভিযোগ করেনি যে কোন প্রার্থী ভুল তথ্য দিয়েছে। তাহলে কিসের ভিত্তিতে কমিশন সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে ? সওয়াল চাকরিহারাদের আইনজীবীর।
কমিশনের আধিকারিকরা নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তারা প্রমাণ করতে চাইছেন যে আগের সব আধিকারিক ভুল ছিলেন। তাই সিবিআইয়ের নথি যাচাই না করেই গ্রহণ করে নিচ্ছেন। আমাদের কথা শুনছে না কমিশন। আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে কমিশন। সওয়াল চাকরিহারাদের আইনজীবীর। তাঁদের আরও সওয়াল, শ্রমের বিনিময়ে যে অর্থ আমরা পেয়েছি তা ফেরত চাওয়ার অধিকার কারও নেই।
প্রার্থীরা ওএমআর শিট OMR Sheet জমা দেওয়ার পরে কম্পিউটারের মাধ্যমেই সেগুলির মূল্যায়ন করা হয়। তাই এগুলিকে প্রাথমিক প্রামাণ্য নথি হিসাবে গন্য করা যায়।- সওয়াল কমিশনের। অনেক ভুল হয়েছে, এখন সংশোধন করার সময় এসেছে, আমরা সেটাই করছি। কোন দুর্নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে দেওয়া যায় না।- সওয়াল কমিশনের।
এই বিষয়ে সিবিআইয়ের বক্তব্য, আমরা যে নথি বাজেয়াপ্ত করেছি তার কপি আমরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পক্ষদের দিয়েছি। মূল মামলাকারীদের সওয়াল, সবাই বলছে যে আমাদের শোনা হয়নি। কিন্তু কেউ বলছে না যে আমরা বৈধ পদ্ধতিতে নিযুক্ত প্রার্থী।