কলকাতা: তৃণমূল (TMC) প্রভাবিত ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু এবং তাঁর দলবলের জন্য ভেস্তে গেল গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Gour Banga) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। কাউন্সিলের সদস্যপদের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণকলি দলবল নিয়ে জোর করে ঢুকে পড়েন শনিবারের বৈঠকে। অভিযোগ, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্য সদস্যদের গালিগালাজ এবং হুমকি দেন কৃষ্ণকলিরা। অন্য সদস্যরা কৃষ্ণকলিকে বলেন, আপনি ওয়েবকুপার সভানেত্রী বলে যা খুশি তাই করতে পারেন না।
কৃষ্ণকলি বলেন, আমি বৈঠকে থাকবই। রেজিস্ট্রার বলেন, আপনি কি আদালতকেও মানবেন না। জবাবে তিনি বলেন, আদালত তো আপনার মানেন না। দীর্ঘক্ষণ কথা কাটাকাটির পর রেজিস্ট্রার বলেন, বৈঠক হবে না। কৃষ্ণকলি বলেন, বৈঠক হবে। এই সব চলতে চলতেই বৈঠক ভেস্তে যায়। বৈঠকের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দুই পক্ষকেই চেঁচামেচি করতে দেখা গিয়েছে। যদিও তার সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি।
আরও পড়ুন: New success of Bengal: কেন্দ্রের বিচারে প্রাথমিক শিক্ষায় সেরার শিরোপা মমতার বাংলার
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় কৃষ্ণকলির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যাপক কৃষকলি বসু জোর করে সভায় ঢুকে পড়েন। তিনি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এই অবস্থায় কাউন্সিলের বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। কৃষ্ণকলির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ আগে কৃষ্ণকলির সদস্য পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকার তা আর রিনিউ করেনি। তবু তিনি জোর করে বৈঠকে ঢুকে পড়েন। এই পরিস্থিতির জন্য এদিন অনেক গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
 প্রভাবিত ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু এবং তাঁর দলবলের জন্য ভেস্তে গেল গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Gour Banga) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। কাউন্সিলের সদস্যপদের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কৃষ্ণকলি দলবল নিয়ে জোর করে ঢুকে পড়েন শনিবারের বৈঠকে।){kind=link}