Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাKolkata Corporation | কলকাতা পুরসভার ল অফিসারের চায়ের মাসিক খরচা সাড়ে ৪...

Kolkata Corporation | কলকাতা পুরসভার ল অফিসারের চায়ের মাসিক খরচা সাড়ে ৪ হাজার থেকে বেড়ে ৩৫ হাজার টাকা?

Follow Us :

কলকাতা: ২০১৫ সালে তাঁর চা, স্ন্যাক্স (Tea and Snacks) বাবদ মাসে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা। বাড়তে বাড়তে এ বছর তা ৩৫ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। কারণ কী?  তাঁর দফতরে নাকি প্রচুর লোক, অফিসার কাজের জন্য আসেন। তাঁদের চা, স্ন্যাক্স খাওয়াতে হয়। কাজেই খরচ তো আছেই। কিন্তু তাই বলে প্রতি মাসে এর জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার টাকা? 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। কলকাতা পুরসভার লিগ্যাল অফিসার মহম্মদ সেলিম আনসারি শুধু চা, স্ন্যাক্স বাবদ প্রতি মাসে অতিরিক্ত ভাতা (Sumptuary Allowance) পান। মেয়র ফিরহাদ (Mayor Firhad Hakim) হাকিমের সম্মতিক্রমেই এই ভাতা পাচ্ছেন তিনি। 

পুরসভার বিরোধী কর্মী ইউনিয়নগুলি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুরসভায় যেখানে প্রায় ৩ হাজার পদ শূন্য। অর্থাভাবে সেই সব পদে লোক নেওয়া যাচ্ছে না। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা ঠিকমতো পেনশন পাচ্ছেন না। সাফাইকর্মীরা সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না। প্রায়ই বেতনের দাবিতে পুরসভায় বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থায় লিগ্যাল অফিসারের চেম্বারে চায়ের জন্য কেন মাসে ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হবে, প্রশ্ন বিরোধী ইউনিয়নগুলির। 

আরও পড়ুন: Lockup Torture| উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে লকআপে মারধরের অভিযোগ 

বিরোধী ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, পুরসভায় কর্ম সংস্কৃতি বলতে এখন কিছুই নেই। মেয়র পারিষদদের ঘর সাজাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু কর্মচারীরা ঠিক সময়ে বেতন পান না। অথচ লিগ্যাল অফিসারের অতিরিক্ত ভাতা বেড়েই চলেছে। 

শুক্রবারই মেয়র ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ১৪৬ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন। মেয়র বলেন, গত কয়েক বছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ যোগ করলে তা প্রায় ২০২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি জানান, পুরকর্মীদের বেতন দিতেই বছরে হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। মেয়র বলেন, কোভিডের সময় যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল, তা থেকে এখনও পুরোপুরি বেরিয়ে আসা যায়নি। তিনি এই পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খরচের উপর জোর দেন। 

বিরোধীরা বলছেন, খোদ মেয়র অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর কথা বলছেন। কিন্তু তাঁর হাত দিয়েই লিগ্যাল অফিসারের জন্য মাসে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার টাকার ভাউচার বেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা লিগ্যাল অফিসারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির পুর প্রতিনিধি সজল ঘোষ বলেন, এটা বিলাসিতা ছাড়া কী। পুরসভা তো বহু মামলায় হেরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মেয়রের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। লিগ্যাল অফিসারেরও বক্তব্য মেলেনি। কিন্তু কীভাবে বছরের পর বছর চা এবং স্ন্যাক্স বাবদ তাঁর অতিরিক্ত ভাতা বাবদ টাকার বরাদ্দ বেড়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Mamata-Abhishek | আউসগ্রামে মমতা থেকে রঘুনাথগঞ্জে অভিষেক, কী বললেন তৃণমূলনেত্রী
39:25
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar) | ভোটের কারণে পর্যটনের শহর দার্জিলিংয়ে নেই পর্যটক
02:14
Video thumbnail
পায়ে পায়ে ধর্মযুদ্ধে | চাষীদের উন্নতির আশ্বাস অভিজিতের
05:27
Video thumbnail
Dilip Ghosh | 'যেসব নেতা টাকা নিয়েছিলেন, তাঁরা ফেরত দিন", এসএসসি-রায় নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের
03:24
Video thumbnail
Dilip Ghosh | যাঁরা টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা ফেরত দিন, না হলে কলার ধরে চৌরাস্তায় দাঁড় করাব : দিলীপ
06:06
Video thumbnail
Calcutta High Court | ২০১৭-র TET-এ প্রশ্ন ভুল মামলায় বড় নির্দেশ, বিশ্বভারতীর সাহায্য চাইল হাইকোর্ট
03:41
Video thumbnail
Udayan Guha | KLO-র নাম করে উদয়নকে হুমকি-চিঠি, চিঠিতে ৫ কোটি টাকা দাবি
04:59
Video thumbnail
Mamata Banerjee | অসিত মালের সমর্থনে আউশগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
02:40
Video thumbnail
SSC Scam | এসএসসির পাশাপাশি আজই কি সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকারও?
02:11
Video thumbnail
Sujan Chakraborty | 'চাল আর কাঁকরে পার্থক্য করতে হবে', যোগ্যদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস সুজনের
01:21