কলকাতা: তৎপর প্রশাসন। আগেই হনুমান জয়ন্ত্রীর (Hanuman Jayanti) দিন পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতো হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) আগে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল লালাবাজারের (Lalbazar) তরফে। মিছিলকে কেন্দ্র করে শর্তসাপেক্ষে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার। এবার হনুমান জয়ন্তীতে মিটিং, মিছিলের অনুমতির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেখানে ফর্ম ফিল আপের সময় যতজনের নাম দেওয়া হবে, তার থেকে বেশি কেউ ব়্যালিতে যোগদান করতে পারবে না বলেও জানা হয়েছে। একইসঙ্গে অস্ত্র নিয়ে কোনও মিছিল করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। এমনকী মিছিল-মিটিং থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। পাশাপাশি ফাটানো যাবে না কোনও শব্দবাজি।
লালবাজের ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও সাইলেন্ট জোনে লাউড স্পিকার বা মিছিলে থাকা কোনও গাড়ির হর্ন বাজানো যাবে না। মিছিল থেকে কোনওরকম উত্তেজনা সহ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কাউকে হেনস্তা করা যাবে না। একইসঙ্গে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাইক ব়্যালি ও ডিজে সাউন্ড বাজানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লালবাজার। সমস্ত শর্ত মেনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Donald Trump | আত্মসমর্পণের আগেই গ্রেফতার ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে শিবপুর ও রিষড়ায় যে অশান্তি দেখা দিয়েছে, তার জন্য আগেভাগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হুনমান জয়ন্তীর দিন বিজেপি নতুন করে রাজ্যে অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা করতে পারে। তা যাতে না হয়, সেটা দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরই নবান্নর তরফে সরকারিভাবে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারের কাছেও এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। পুলিশ সুপারদের বলা হয়, ওইদিন যাতে কোনও ভাবে অশান্তির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সব রকম বন্দোবস্ত রাখতে হবে। ওই দিন পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার খেজুরির সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৬ তারিখটা খুব সতর্ক থাকুন। ওরা (বিজেপি) আবার অশান্তি করার প্ল্যান করতে পারে। ওই দিন বজরংবলীর পুজো হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বজরংবলীকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দাঙ্গাবাজি সমর্থন করি না। মুখ্যমন্ত্রীর কথার পরেই প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু করে দেয় নবান্ন। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন পাঁচদিন ধরে রামনবমী হবে? পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, রামনবমী ক’দিন পালন করা হবে সেটা হিন্দু সমাজ ঠিক করবে, মুখ্যমন্ত্রী নন।