আসালসোল: হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশের পর শুক্রবার নিজের চেম্বারে ঢুকলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Nazrul University) উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী (Vice Chancellor Sadhan Chakraborty)। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বেশ কয়েকবার এলেও নিজের চেম্বারে ঢুকতে পারেননি তিনি। ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মচারীদের একটা বড় অংশের লাগাতার বিক্ষোভের ফলে উপাচার্য দিনের পর দিন নিজের অফিসে ঢুকে কাজ করতে পারেনি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ এই দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যের সঙ্গে কাজ করা যায় না। গত ৪৭ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ চলছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর আগে যতবার উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছেন আন্দোলনকারীরা তাঁকে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন। থালা বাটি বাজিয়ে, গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে তারা উপাচার্যকে ফিরিয়ে দেন। অবশেষে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, উপাচার্যকে তাঁর অফিসে ঢুকতে দিতে হবে। পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সহযোগিতায় এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্ত্তী। তারপর পুলিশি ঘেরাটোপে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পাশ দিয়ে নিজের অফিসে ঢোকেন উপাচার্য।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসে ঢোকার সময় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ গান গেয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করার-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে টানা আন্দোলন বিক্ষোভ চালাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের একটা বড় অংশ। গত ১৩ মার্চ থেকে চলছে এই পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে দফায় দফায় ওয়েবসাইটে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য। যদিও, আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থানেই অনড়। আন্দোলকারীদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে ভিসিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও নিজের অফিসে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান উপাচার্য। হাইকোর্টের নির্দেশের পর শুক্রবার নিজের চেম্বারে ঢুকলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।