কলকাতা: ফের শহরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। রবিবার লেকটাউনের (Laketown) বাঙুর-যশোর রোডে একটি বহুতলের নীচে থাকা দোকানে বিধ্বংসী আগুন লাগে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন দোকানের উপরের ওই বহুতলে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। তবে ঝোড়ো হাওয়া চলতে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাঙুর-যশোর রোডের উপর অবস্থিত একটি বহুতলের নীচের তলে থাকা এক দোকানে আগুন লাগে। প্রথমে দোকানের ব্যানারে আগুন লাগে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই আগুন দোকানের উপরে যে ফ্ল্যাট ছিল, সেখানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। কিন্তু, আগুন দ্রুত বহুতলের উপরের তলগুলিতে ছড়াতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে দমকলের আরও ৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঝুঁকি এড়াতে ওই বহুতলের বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়েছে। তবে বহুতলের পাশেই পেট্রোল পাম্প রয়েছে। আগুন সেখানে ছড়িয়ে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দমকলকর্মীরা প্রাণপণে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন:Clouds | Bacteria | আকাশের ঘন কালো মেঘে রয়েছে ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া!
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, দোকানটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বহুতলের পাশে থাকা লাইটপোস্টটিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঠিক কী থেকে দোকানের ব্যানারে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে এবং পাশে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দমকলের ১০টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।তিনি নিজে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন।