কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। এর ফলে অভিষেককে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে আর কোনও বাধা রইল না। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অবিলম্বে সেই টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করার নির্দেশ বিচারপতির। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জনসংযোগ যাত্রার মাঝেই এ ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
প্রসঙ্গত, কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান অভিষেক। কিন্তু এদিন সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সুতারাং অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ১৩ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় লিখিত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রয়োজন মনে করলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এমনকী কুন্তল এবং অভিষেককে মুখোমুখি বসানো যেতে পারে বলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। শীর্ষ আদালত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাস থেকে সরানোরও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওই দুই মামলা শোনার জন্য নতুন বিচারপতি নিয়োগ করবেন। সেইমতো কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা শোনার জন্য বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নিয়োগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিতে গিয়ে আরও বলেছিল, এই বিষয়টি হাইকোর্টই দেখবে।
পরবর্তীকালে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে অভিষেক বিচারপতি সিনহার এজলাসে আবেদন করেন। বিচারপতি অভিষেকের আইনজীবীকে বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করতে আপত্তি কোথায়। আদালত কোনও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না। তবে আদালতের দরজা ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। দরকার পড়লে আদালতে আসবেন।