কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামের (Nandigram) চিলাগ্রামে দেবব্রত মাইতিকে খুনে অভিযুক্তদের নিম্ন আদালতে জামিন খারিজের মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইকে বিচারপতির জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, অভিযুক্তরা যাতে জামিন পেয়ে যায়, আপনারা কি সেই চেষ্টাই করেছিলেন? না হলে কেন সব তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরেও চার্জশিট দেওয়া হয়নি? তদন্তকারী সংস্থা জামিন আটকাতে কেন ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি?
বেঞ্চ আরও মন্তব্য করে, তদন্তকারী সংস্থার এই ধরনের ভুমিকা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ২৪ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই খুনের মামলায় ধৃতরা বিভিন্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। সেই জামিন খারিজের দাবিতে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তি পুরুলিয়ায়, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে আতঙ্কিত স্থানীয়রা
২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে আরও একটি চার্জশিট আগেই পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI)। নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দায়ের করেছিল সিবিআই। বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হত্যাকাণ্ডে শেখ ফতেনুর, শেখ মিজানুর ও শেখ ইমদুলাল ইসলামর নামে হলদিয়া আদালতে চার্জশিট জমা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই নিয়ে হিংসা তদন্তে চার্জশিটের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই খুনের কাণ্ডে নাম জড়ায় সুফিয়ানেরও। নিহত দেবব্রতের পরিবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগও দায়ের করেন।