কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University Incident) গ্রেফতার আরও এক প্রাক্তনী।ঘটনার রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার। ধৃতের নাম জয়দীপ ঘোষ। এই নিয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। জয়দীপ ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়দীপের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। বর্তমানে বিক্রমগড়ের ভাড়া থাকেন।জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন জয়দীপ ঘোষ। কিন্তু, পাশ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও হোস্টেল ছাড়েননি জয়দীপ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে পুলিশকে হোস্টেলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন জয়দীপ।পড়ুয়ার মৃত্যুর রাতেও জয়দীপ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।অভিযোগ, সেই রাতে ছাত্রটি হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে খবর পেয়ে হোস্টেলে পুলিশ ঢুকতে গেলে বাধা দেয় প্রাক্তনীরাআবাসিকের একাংশ। যা নিয়ে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি পৃথক মামলা রুজু করে। সেই মামলাতেই এদিন রাতে জয়দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার জয়দীপকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। রাতের দিকে গ্রেফতার হন প্রাক্তনী। কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে জয়দীপের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডের বিতর্কের আবহেই নয়া উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্কঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে বারবার বয়ান বদল করছে। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতেই বারবার বয়ান বদল করছে। তাদের বয়ানে রয়েছে একাধিক অসংগতি রয়েছে।সে দিনের শুধু এই নয় জন নয়, আরও অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে উঠেছে দাবি। এবার তদন্তকারীদের স্ক্যানারে উঠে এল আরও কয়েকজন পড়ুয়ার নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর দলবল হস্টেলের মধ্যে তোলাবাজির কাজ করত। সূত্রের খবর, হস্টেলের নতুন কেউ এলে আগে তাঁর পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হত। তারপরই নবাগতদের থেকে টাকা চাওয়া হত। এমনকী সিনিয়রদের খাবারের বিল অনলাইনে মেটাতে হত। রীতিমতো জুলুমবাজি চল পড়ুয়াদের উপর। উঠছে একাধিক প্রশ্ন? তাহলে কী কিছুই জানতো না কর্তৃপক্ষ?