কলকাতা: বেহাল দশা শহরের রাস্তার৷ মোটামুটিভাবে জুন থেকে অগস্ট পর্যন্ত বর্ষা স্থায়ী হয় রাজ্যে৷ ভরা বর্ষায় রাস্তার ওপরের পিচের প্রলেপ সরে গিয়ে তৈরি হয় গর্ত৷ একেই বর্ষা তার মধ্যে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় আখছার দুর্ঘটনা ঘটছে শহরজুড়ে৷ এই সমস্যার সমাধানে রাস্তা সারাইয়ে নেমে পড়ল কলকাতা পুরসভা৷ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা সারাইয়ে পড়ছে বিটুমিনের প্রলেপ। পুজোর আগেই সব রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: দিনহাটা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী কে? উদয়ন-রবি শিবিরে কাজিয়া
পুরসভার রাস্তা বিভাগের তথ্য বলছে, শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় রাস্তার মধ্যে অন্তত ১৫৯টির হাল ভাল নয়। সব রাস্তাতেই প্যাচওয়ার্ক করতে হবে। এই কাজের জন্য আপাতত আট-দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বঙ্কিম মুখার্জি রোড, এসপি মুখার্জি রোড, এনএসসি বোস রোড, হরিশ মুখার্জি রোড এবং ডায়মন্ডহারবার রোড মেরামতের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কাশীপুর রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সহ বেশ কয়েকটি রাস্তা দিন কয়েকের মধ্যেই সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: লাগাতার বিক্ষোভে অচলাবস্থা সংসদে, বিরোধীরাই ভরসা কেন্দ্রের
যে সব রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকে, সেই সব রাস্তা আগে সারাই করা হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং সংযুক্ত কলকাতার বেহালা, গার্ডেনরিচ অঞ্চলে একাধিক রাস্তা কঙ্কালসার চেহারা নিয়েছে। বেহালার বীরেন রায় রোড, ঠাকুরপুকুরের এমজি রোড, একে মুখার্জি রোড, গার্ডেনরিচ রোড, এন এস রোড সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখানে মোট ২১টি রাস্তা সারানোর প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেলফির নেশায় বিভোর, নদীতে তলিয়ে মৃত ১
শুধু বর্ষা একমাত্র কারণ নয়, ওভারলোডিংয়ের জন্যও রাস্তা খারাপ হচ্ছে। এই কারণে শহরের বহু রাস্তা ভেঙেচুরে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাকগুলি ওভারলোড করে চলাচল করে। সেই কারণেই রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা ভেঙেচুরে গেলে বাতাসে দূষণের মাত্রাও বাড়ে। ওভারলোডিং রুখতে বিভিন্ন জায়গায় ধরমকাঁটা বসাবে পরিবহণ দফতর। তাতে ওভারলোডিং ধরা পড়লে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে গাড়ির মালিককে। জরিমানার অঙ্কও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী।