কলকাতা: বাঁশদ্রোণীর (Bansdhroni arrest) খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের নাম রাজীব কুমার। বাড়ি বিহারের (Bihar) মুঙ্গেরের সংগ্রামপুরে। পুলিসের দাবি, বছর চব্বিশের রাজীব কুমার বাঁশদ্রোণীর খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। ১২ ডিসেম্বর বাঙ্কার সাহেবগঞ্জ চক থেকে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস।
৭ ডিসেম্বর সকালে বাঁশদ্রোণী থানার সোনালি পার্কের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় বছর ৪৩-এর মুকেশ শা’র দেহ। বাড়ির সদর দরজার সামনে উপুড় হয়ে পড়েছিল দেহটি। গলায় ছিল গভীর ক্ষত। কাঁধে এবং ডান হাতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। চপার জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। মুকেশের ভাই সঞ্জয় বাঁশদ্রোণী থানায় ফোন করে দাদার খুনের খবর দেন। এর পর পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খুনের তদন্ত শুরু করেন লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা।
আরও পড়ুন- আনন্দপুরে আত্মগোপন করে থাকা ২১ বাংলাদেশি গ্রেফতার
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, মুকেশের স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে নভেম্বর থেকে বিহারে বাড়িতে রয়েছেন। তাই বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কের বাড়িতে একাই ছিলেন মুকেশ। সোমবার রাতে তিনি একটি বিয়েবাড়িতেও গিয়েছিলেন। পুলিসের ধারণা, সেখান থেকে ফেরার পরেই খুন করা হয় মুকেশকে। অপরাধীকে শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নেয় পুলিস। তবে, কী কারণে মুকেশকে খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরনো শত্রুতা নাকি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই খুন, পুলিস সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।