কলকাতা: কলকাতার পুরভোট (KMC Election) শেষ হতেই রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP) সংগঠনে ব্যাপক রদবদল ঘটালেন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একাধিক নেতা-নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে। অনেককে অন্য পদে বসানো হয়েছে। কারও কারও আবার কোনও পদই জোটেনি। একইসঙ্গে রাজ্য সংগঠনে কিছু নতুন মুখকেও আনা হয়েছে। রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সায়ন্তন বসুকে। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য বিজেপির অন্দরে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা প্রশ্ন ওঠে। তার জন্যই সায়ন্তনের এই অবনমন কি না, জল্পনা চলছে তা নিয়ে। নতুন কমিটিতে কোথাও ঠাঁই হয়নি সায়ন্তনের।
যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ হারাতে হয়েছে সাংসদ সৌমিত্র খানকে। সায়ন্তনের মতো বিতর্কিত কথাবার্তায় সৌমিত্রেরও ‘সুনাম’ আছে। একইসঙ্গে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলাতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে খোলাখুলি কথা বলতে ছাড়েননি সৌমিত্র। যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সৌমিত্রকে অবশ্য রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়েছে। সৌমিত্রর জায়গায় যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি হলেন ইন্দ্রনীল খান। সহ সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারকেও।
বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ছিলেন আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। অগ্নিমিত্রাকে সরিয়ে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী করা হল তনুজা চক্রবর্তীকে। অগ্নিমিত্রাকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে। মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এসসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি হলেন সুদীপ দাস, ওবিসি মোর্চা সভাপতি অজিত দাস, কিসান মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার, সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হয়েছেন চার্লস নন্দী।
আরও পড়ুন: বিধানভায় ভরাডুবি, বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল আসন্ন
দলের প্রধান মুখপাত্র করা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। এছাড়াও মুখপাত্র হিসাবে আছেন জয়প্রকাশ মজুমদার, মোহিত রায়, বিমলশংকর নন্দ প্রমুখ। মিডিয়া প্যানেলিস্টের তালিকায় রয়েছেন অর্চনা মজুমদার, দীপ্তিমান সেনগুপ্ত, সজল ঘোষ, রাজলক্ষী বসু-সহ মোট দশ জন। সদ্য কলকাতার ভোটে জিতে আসা সজল ঘোষকে রাজ্য কমিটিতে আনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।