কলকাতা : বাস ভাড়া বাড়াতে নারাজ রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বাস ভাড়া না বাড়ালে সব বাস নামানো যাবে না বলে জানিয়েছে বাস মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করার এক মাত্র উপায় সিএনজি বাস। বুধবার এই বিষয় নিয়েই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাস ও মিনিবাস এর মালিক ও সংগঠন গুলির সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেট্রোল চালিত বাসগুলি সিএনজিতে পরিবর্তিত হলে সেই বাসগুলি আরও বেশিদিন চালানোর ব্যবস্থা করতে। যে প্রস্তাবে রাজি হয়নি রাজ্য ফলে, মিলল না এই সমস্যার সমাধান সূত্র।
উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার কারণে, বাস চালাতে নাকাল হতে হচ্ছে বাস মালিকদের। করোনা সংক্রমণের জেরে যেহেতু বহু মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন বহু মানুষের মাথাপিছু আয় কমে গেছে তাই এই মুহূর্তে বাস মালিকদের দাবি মেনে ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে সায় নেই রাজ্য সরকারের। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে পেট্রোল চালিত গাড়ি গুলিকে সিএনজি তে কনভার্ট করে চড়া দামে তেল কেনার হাত থেকে বাস মালিকদের রেহাই দেওয়ার লক্ষ্যে, বিকল্প ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া শুরু করেছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন বাস উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেউ কেউ বাস ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন আবার কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখে এখনই বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। এদিন সমাধানসূত্র না মিললেও বাস মালিকদের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে বেশ কিছু অভিযোগ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে বাস, মিনিবাসের উপর পুলিশের মোটা টাকা ফাইন করা।
আরও পড়ুন – হাঁটুর চিকিৎসাকেন্দ্রে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের আয়ুর্বেদিক ওষুধ, তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের
এছাড়াও রাজ্যের দেশের যেকোন প্রান্তে সিএফ করার ব্যবস্থা ছিল। এরাজ্যে দীর্ঘদিন বাইরের গাড়ির সিএফ করা বন্ধ রাখা হয়েছে, ফলে এরা যে অন্য রাজ্য থেকে আসা বাস গুলির যদি কখনো এমার্জেন্সি সিএফ করার প্রয়োজন পড়ে তবে তা করতে পারছেন না তারা। অবিলম্বে এই সিএফ ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে চালু করার বিষয়েও মন্ত্রী কে অনুরোধ করেন তারা।
টেক্স, সিএফ, পারমিট ফাইন, এর ক্ষেত্রে ফাইন মুকুব করা হোক ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু অসুবিধা ও দাবি-দাওয়ার কথা মন্ত্রীকে জানান তারা। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সরকারি স্তরে বাস মালিকদের জটিল পরিস্থিতি থেকে সমাধান সূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী সব মহল।