কলকাতা: চলতি সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের (Low pressure in Bay of Bengal) আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে কি না তা নিশ্চিত নয় আবহাওয়া দফতর। দিল্লির মৌসম ভবন সাইক্লোনিক সার্কুলেশন এর কথা বললেও সাইক্লোনের কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে সাইক্লোন। যার অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূল।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ৬ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone) সৃষ্টির সম্ভাবনা। ৮ মে নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। নিম্নচাপ পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কি না, নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Mokha) পরিণত হলে নাম রাখা হবে মোখা। আয়লা, আমফান, ইয়াস– সব ঘূর্ণিঝড়ই মে মাসে হয়েছিল, তা যথেষ্ট ধ্বংসকারী ছিল।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিস্টেমের উপর নজর রাখা হচ্ছে। নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ১২ মে-এর মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ে গতিবেগ হতে পারে ১০০ কিমির উপরে। গতিবেগের সমন্ধে সঠিক ভাবে আবহাওয়া দফতর কিছপ জানায়নি।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের (Weather Department) পূর্বাভাসে জানা যাচ্ছে আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গের কমবেশি অনেক সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি হবে। ৫ তারিখের পর থেকে আবার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে গরম বাড়লেও কলকাতাতে তাপমাত্রার পারা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও দমকা ঝড়ের সর্তকতা। শুক্রবার থেকে আবহাওয়া বদল, বাড়বে তাপমাত্রা। বুধবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। শিলাবৃষ্টির সতর্কতা থাকছে বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এদিকে উত্তরবঙ্গে আজ দার্জিলিং কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারের বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।