কলকাতা: ফের সাফল্যের নজির গড়ল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital)। ব্রঙ্কোস্কোপি করে শিশুর (Child) ফুসফুস থেকে বাঁশির টুকরো বের করলেন চিকিৎসকরা (Doctor)। তিন মাস ভর্তি রেখেও এনআরএস হাসপাতাল যা পারেনি, তাই করে দেখাল এসএসকেএম হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটি সুস্থ রয়েছে। আপাতত তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা চার বছরের ছোট্ট হামিম আনসারী। বেশ কিছুদিন আগে খেলতে গিয়ে তার শ্বাসনালীতে বাঁশির টুকরো ঢুকে যায়। হামিমের বাবা-মা তাকে নিয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজে যান। সেখান থেকে তাকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন মাস চিকিৎসা চলে সেখানে। দুবার ইএনটি বিভাগ ব্রঙ্কোস্কোপি করেও এই বাঁশির টুকরো খুঁজে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগে আমিনকে ভর্তি করার পর দেখা যায় তার ফুসফুসের বাঁ দিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি বাঁশি আটকে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এসএসকেএমের চিকিৎসকদের সফল চেষ্টায় প্রাণে বাঁচে শিশুটি।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee | অভিষেকের বাঁকুড়া সফর, ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির জেরে বাতিল কলেজের পরীক্ষা
ইএনটি বিশেষজ্ঞ মৈনাক মৈত্র জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে বাঁশিটি আটকে থাকায় প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারতো। ইতিমধ্যে বাঁদিকের ফুসফুস কিছুটা ছোট হয়ে গিয়েছে। যদিও এনআরএস যা পারেনি, সেটাই এসএসকেএমে সফলভাবে বের করা সম্ভব হয়েছে। আপাতত শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরুনাভ সেনগুপ্তের মতে, শিশুদের হাতে এমন কিছু দেওয়া উচিত নয়, যা সে খেয়ে ফেলতে পারে। যার থেকে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই বাবা-মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। আর এমন যদি কিছু ঘটনা ঘটে, তাহলে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতালের ইএনটি বিভাগে চলে আসতে হবে। যাতে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। বাবা